বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অমান্য করে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ৮ নং মনসুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটি বিলুপ্তির প্রতিবাদে ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশ। ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদ্য বিলুপ্ত হওয়া মনসুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সাধারন সম্পাদক আবদুর নুর গুলু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহাজাহান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়ছল আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও মনসুরনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান, টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম খান, জেলা শ্রমীক লীগনেতা কয়েছ আহমদ, মনসুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক সামায়ুন আহমদ চৌধুরীসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। লিখিত বক্তব্যে বলেন ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ফরজান আহমদের সভাপতিত্বে মনসুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সাধারন সম্পাদক আবদুর নুর গুলসহ কমিটিতে থাকা উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দের না জানিয়ে মনগড়া ও অসাংগঠনিক উপায়ে এক বর্ধিত কর্মী সভা করে মনসুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিদ্যামান কমিটিকে বিলুপ্তি ঘোষনা করে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জরিত নয় এমন ব্যাক্তিদের নিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে কোন কমিটি বিলুপ্ত করা যাবেনা সভানেত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে অগঠনতান্ত্রিক ভাবে মনসুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করে অপরিচিত দুই জন ব্যাক্তিকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব দিয়ে নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে থেকে জানাযায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাদ মিয়া চৌধুরী ইমানী মিয়াকে আবগত না করে ও তৃনমুল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে না জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখতের একক সিদ্ধান্তে কতিপয় স্বার্থনেসী মহল নিয়ে একটি নিজস্ব বলয় তৈরীর অপচেষ্টা করছেন এতে মনসুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও হতাশা বিরাজ করছে। তারা মনে করছেন এতে করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরুপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা বলেন অবৈধ ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে দুর্বল করার অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে রুখে দাঁড়ানো হবে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ঘঠিত আহ্বায়ক কমিটির কারণে রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনের জন্য ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থাশীল হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আওয়ামীলীগকে আবারও ক্ষমতায় আনার লক্ষ্যে সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও জেলা সভাপতি সম্পাদক বরাবরে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।