টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এক হাতেই অভিনয় ও রাজনীতি সামলান। না বললেই নয়, দুই অঙ্গনেই বেশ দাপুটে এ অভিনেত্রী। তবে এবার অভিনেত্রীর কণ্ঠে ছিল অভিযোগের সুর। হঠাৎই সমাজকে নারীবিদ্বেষী বললেন তিনি। কিন্তু কেন? হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ‘রক্তবীজ’ নামে একটি সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন মিমি। এতে তাকে দেখা যাবে পুলিশ চরিত্রে। সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রী জানান, এমন চরিত্রে তাকে আগে দেখা যায়নি। এখন ঠিক সেই ধরনের চরিত্রই তিনি নির্বাচন করেন, যা আগে কখনও করা হয়নি। পর্দায় নিজেকে ভাঙতে চান মিমি। অভিনেত্রী বলেন, ‘এই চরিত্রটার জন্য আমার এমনিতে যেমন হাবভাব সেটাই যথেষ্ট বলেছিলেন শিবুদা (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়)’। এ সময় সমাজের প্রতি অভিযোগ তুলে মিমি বলেন, ‘আমাদের সমাজটা বড্ড মিসোজিনিস্ট, পুরুষতান্ত্রিক। আমার মতো একজন মেয়ে যে কোনো পুরুষের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের চেষ্টায় পথ চলছে, তার সামনে প্রতি মুহূর্তে বাধা আসে।’ সাংসদ বলেই যে আমার জীবনে বাধা কিংবা সমস্যা নেই, বিষয়টি এমন নয়। মিমির মতে, ‘সমাজটা ভয়ংকর মিসোজিনিস্ট’। আজকাল টালিউডের পার্টিতে আর দেখা যায় না মিমিকে। এর চেয়ে বরং নিজের বাড়িতেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা জমান তিনি। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? মিমি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় এক দশক থাকার পর আমি উপলব্ধি করেছি, যাদের সঙ্গে পার্টি করছি তাদের সঙ্গে কোনো হৃদয়ের যোগ নেই। তার চেয়ে কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটানো ভালো। এ ছাড়া অনেক পার্টিতে আমার দমবন্ধ লাগে।’ জানা যায়, সম্প্রতি ‘বিগ বস সিজন-১৬’, ‘খতরোকে খিলাড়ি’র অফার ফিরিয়ে দেন মিমি। এ ছাড়া যশ দাশগুপ্তর ডেব্যু হিন্দি ছবি ‘ইয়ারিয়াঁ ২’-র অডিশন দিয়েও সরে দাঁড়ান তিনি। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘হিন্দিতে কাজের অফার পেলেই যে তা গ্রহণ করতে হবে এমনটা ভাবা ভুল। মুখ্য চরিত্র ছাড়া আমি হিন্দিতে কাজ করব না।’ মিমি খুব বেছে বেছে কাজ করেন। শেষ কিছু বছরে অভিনেত্রীর নামমাত্র সিনেমা রিলিজ হয়েছে। এ ছাড়া ‘রক্তবীজ’-এর অংশ হওয়ায় সৃজিতের ‘দশম অবতার’-এর অফার ফিরিয়েছিলেন মিমি। এবার সেই ছবিরই মুখোমুখি হবেন বক্স অফিসে।