খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কারাম উৎসব সমতলের আদিবাসীদের প্রাণের উৎসব। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের পাশাপাশি এটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার বিশেষ উদ্যোগ। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় নওগার পোরশা উপজেলার দক্ষিণ লক্ষীপুর ঝর্ণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কারাম উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন.আগে ছোট আকারে কারাম উৎসব আয়োজন হলেও এখন ব্যাপক পরিসরে হচ্ছে।কারাম উৎসব সমতলে বসবাস করা নৃ-গোষ্ঠীর প্রাণের উচ্ছ্বাস। এ উৎসব বরেন্দ্র অঞ্চলকে মিলন মেলায় পরিণত করে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সব নাগরিকের সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি রয়েছে। তাদের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আদিবাসীদের জন্য সরকার স্পেশাল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাক মাদলের তালে নাচ-গান আর পূজা অর্চণার মধ্য দিয়ে সাঁওতাল, ওঁরাও, মুন্ডা, পাহান, মালো, মাতোসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন জাতিসত্ত্বার প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক এই উৎসব উদযাপন করা হয়।উৎসবে বিভিন্ন উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১৮টি সাংস্কৃতিক দল তাদের নিজস্ব গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে। পরে মন্ত্রী নৃত্যানুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব জাতীয় আদিবাসী পরিষদের পোরশা উপজেলা সভাপতি ধীরেন লাকড়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা. সহকারি কমিশনার(ভূমি) মনিরুজ্জামান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাপাহার উপজেলার সভাপতি ভুট্টু পাহান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম এবং ছাওড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।