পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমি বিক্রি করতে গিয়ে ভাতিজিকে (২২) জামালপুর থেকে অপহরণ করে লালমনিরহাটে নিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছে চাচা মানিক মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেয়ে আর নাতিকে ফেরত পেতে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃতার মা গোলাপী বেগম। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত চাচা মানিক মিয়া লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার উত্তরপাড়া এলাকার আবু সাঈদ ওরফে কালিয়ার ছেলে। বাদি গোলাপী বেগম জামালপুরের নরনদি থানার আমতলা ভাসানি নগর এলাকার মৃত আবদুর রশিদ মিয়ার স্ত্রী। অভিযোগে জানা গেছে, মানিক মিয়ার পৈত্রিক সুত্রে জমালপুরে পাওনা জমি দেখভাল করতেন তার ফুপাত ভাই আবদুর রশিদের স্ত্রী গোলাপী বেগম। সেই জমি বিক্রির কথা বলে ওই বাড়িতে বেড়াতে যান মানিক মিয়া। এ অজুহাতে ওই বাড়িতে প্রায় এক মাস অবস্থান করেন মানিক। এ সময়ে জমি ক্রয় বাবদ ৫লাখ টাকা প্রস্তুত করেন বিধবা গোলাপী বেগম। গত ২৪ সেপ্টেম্বর জমি রেজিস্ট্রির আগেই টাকা ৫ লাখ এবং গোলাপী বেগমের মেয়ে রশিদা বেগম মিম ও তার একমাত্র ছেলে মাহিরকে(৪) নিয়ে চম্পট দেন মানিক মিয়া। স্ত্রী সন্তানের কোন সন্ধান না পেয়ে স্থানীয় থানায় সাধারন ডায়েরী করেন অপহৃতার স্বামী জলিল মিয়া। এরপর তাদের অবস্থানের খবর পেয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় মানিক মিয়ার বাড়িতে আসেন গোলাপী বেগম। সেখানে উপস্থিত হলে স্থানীয় কতিপয় দালাল মেয়ে নাতির সন্ধান পাইয়ে দিতে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে কালক্ষেপন করেন। টানা ১০ দিন ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সামছুল হকসহ দালালদের দাঁড়ে দাঁড়ে নিস্ফল ঘুরে নিরুপায় হয়ে শুক্রবার রাতে মানিক মিয়া ও তার পরিবারের ৪জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় অপহরনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গোলাপী বেগম। বাদি গোলাপী বেগম বলেন, মানিকদের পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমি আমরা দেখভাল করে আসছি। সেই জমি বিক্রির জন্য আমাদের বাড়িতে গত এক মাস অবস্থান করেন মানিক। আমি টাকা ৫ লাখ জোগার করেছি তাকে দিয়ে জমিটা রেজিস্ট্রি করে নিবো। এরই মাঝে মানিক টাকা ৫লাখসহ আমার মেয়ে ও নাতিকে অপহরণ করে নিয়ে আসে। মেম্বরসহ লোকজন মেয়ে ও নাতিকে ফেরৎ দিতে চেয়েও দিচ্ছে না। শুধুই কালক্ষেপন করছে। তারা আমার মেয়ে আর নাতিকে মেরে ফেলতে পারে তাই পুলিশের সহায়তা কামনা করেন তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য সামছুল হককে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।