সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঝুঁকিপূর্ণ বাক্সকল ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কৈখালী ইউনিয়নের পরানপুর ও কাঠামারির মাঝখানে নূর ইসলামের মৎস্যঘেরীর কলের পাশ ডেবে গিয়ে ১৫ ফুট জুড়ে পানি প্রবেশ করে। পরে স্থানীয়রা বস্তুা দিয়ে সাময়িক পানি আটকাতে সক্ষম হয়। কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আবদুর রহিম বলেন, বিষয়টি জানার পর লোকজন দিয়ে সংস্কার করেছি। তবে এরকম আরও কয়েকটি কল আছে যা ঝুঁকিপন্ন। পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে যত্রতত্র ছিদ্র করে পাইপ ও বাক্স কল বসিয়ে ঝাঁজরা করে বেড়িবাঁধকে দূর্বল করে দিয়েছে পানি ব্যবসায়ীরা। শ্যামনগরে ২০টির অধিক বাক্স কল রয়েছে। সেখানে প্রায় অর্ধেক বাক্সকল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পানি উত্তোলন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় আকতার হোসেন জানান, কিছু এলাকায় সিএমবির রাস্তা তৈরি হয়েছে কিন্তু তার নিচু দিয়ে বাক্স কল রয়ে গেছে। সেই স্থানগুলোতে রাস্তার চরম ক্ষতি হয়েছে। সদ্যনির্মিত রাস্তা বসে গেছে। অন্যদিকে কিছু স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ দুপাশ ভাঙনের কবলে পড়েছে। সরকার প্রতিনিয়ন এই বেড়িবাঁধ রক্ষার্থে কোটি কোটি টাকা বাজেট দিয়েও রক্ষা করতে পারছে না কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের জন্য।অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাক্সকলগুলোর বার্ষিক আয় প্রায় ২ কোটি টাকা। এই টাকা নিচু তলা থেকে উপর তলার সকল রুই কাতলরা পেয়ে থাকে। বাক্সকল অপসারণে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ থাকলেও স্থানীয়রা সমন্বয় করে তা শিথিল করে ফেলেছে। সচেতন মহল জানিয়েছেন, বাক্সকল অপসারণ করলে লোনাপানি উঠা বন্ধ হবে। আর বেড়িবাঁধ ছিদ্র বন্ধ হবে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে দোষ চাপাচ্ছেন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উপর।