পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের নিজের ফেসবুক আইডি থেকে আইন পরিবর্তন করে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার পক্ষে একটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ও এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিনি তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে লিখেছেন ‘রাজনৈতিক কারণে আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া হউক। (মন্তব্য না করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি)’। বিষয়টি আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের নজরে আসলে বিভিন্নভাবে তাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ তার পদত্যাগ দাবি করছে আবার কেউ কেউ তার বহিষ্কার দাবি করছেন কেউবা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ কাজী আলমগীর মুঠোফোনে বলেন ‘বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরকম স্ট্যাটাস দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করেন না, এটা আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নীতি নির্ধারণীদের বিষয়। তিনি এমন কাজ করে থাকলে তাহার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে’। বাউফলের মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও সাবেক জেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার আবদুল বারেক মিয়া বলেন ‘এটা সংগঠনবিরোধী কাজ। আমি বিব্রত। এ বিষয়ে নিশ্চয়ই সংগঠন ব্যাবস্থা নিবেন’। বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার শামসুল আলম মিয়া বলেন ‘পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি বক্তব্য দিতে পারেন না, নিশ্চয়ই দল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ’। বাউফল উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য শাহজাহান সিরাজ, যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ সিকদার বলেন ‘এটা সংগঠনবিরোধী স্ট্যাটাস বলে আমি মনে করি, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হোক’। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘শেখ হাসিনা মানবতার মা, তিনি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) যে মানবতার মা, তা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠালে সেটা আরও একবার প্রমান হবে। আমি রাজনৈতিক কারণে লিখেছি, এখানে দোষের কিছু দেখছিনা’