মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্র অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের সকল ম্যাধমিক বিদ্যালয় চালু থাকার কথা থাকলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষার কর্মকর্তার আকস্মিক পরিদর্শনে এর ব্যত্যয় ধরা পড়লো দিনাজপুরের পার্বতীপুরের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্ঞানাঙ্কুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে। সোমবার বেলা ২টায় গোপন সুত্রে এ অনিয়মের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা নিশ্চিত হন উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বিভাষ চন্দ্র বর্মন। স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন সমাজ, মজিদুল ইসলাম ও বিভিন্ন গনমাধ্যমের সাংবাদিকগন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার জানান, স্কুলে এসে তিনি কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এমনকি প্রধান শিক্ষকের দেখা পাননি। সকল শ্রেনী কক্ষে তালা ঝুলছে। স্কুলে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ২৭ হলেও একমাত্র পিয়ন আশরাফুল ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ও শিক্ষকের সংখ্যা ২১ জন, এর মধ্যে ৫ খন্ড কালীন শিক্ষক রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিকের কাছে তাৎক্ষনিকভাবে রির্পোট করেছেন। স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, এঘটনা আমাকে অবহিত করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টার নোটিশে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং ডেকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগের ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশেক উল্লাহ বলেন, আমরাও সকাল ১০টা থেকে বিকলে ৪টা পর্যন্ত স্কুল চালু রাখি। কিন্তু এসএসসি নিবার্চনী পরীক্ষা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা ৩০ মিনিটে পর্যন্ত চলায় পরীক্ষা গ্রহন শেষে উত্তরপত্র জমা নিয়ে স্কুল ছুটি দেয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন। পার্বতীপুর উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মো: আশরাফুল আলম প্রধান বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি ঘটনা তদন্তে উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকে স্কুলে পাঠাই। তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান, ওই দিনের বেতন কর্তনসহ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের এখতিয়ার স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির বলে তিনি মতামত দেন।