বিএনপি-জামাতের শাসনামলের সময় দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা অনেক অবহেলিত ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাঙ্গামাটি শহরের মাঝেরবস্তি এলাকায় রাঙ্গামাটি পৌরসভার বাস্তবায়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম সড়কের নাম ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাঙ্গামাটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় ও পৌরসভা মেয়র মো: আকবর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মমতাজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নপূরণে দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। রাঙ্গামাটি শহরে শহীদদের নামে কয়েকটি এলাকার সড়কের নামকরণ করা হবে। তাই আসুন স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধকে ধারণ করে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিনত করতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি। ফলক উম্মোচন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমের পরিবারের সদস্যরাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বদিউল আলম পিতার নাম: মৃত হাজী আহাম্মদ মিয়া, মাতার নাম: মৃত দেলোয়ারা বেগম এবং স্ত্রীর নাম: মৃত জাহান আরা বেগম। ঠিকানা: রাঙ্গামাটির মাঝেরবস্তিস্থ কাশেম বাজার এলাকায়। জন্মস্থান: পুরাতন রাঙ্গামাটি। জন্ম তারিখ: ০৩/০২/১৯৪১ইং। শিক্ষা জীবনে বিএ পাশ এই প্রজ্ঞাবান ব্যাক্তিত্ব ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে তিনি রাঙ্গামাটি শহর এবং সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের একজন যোগ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৭সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ২২ বছর রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বার্ধক্যে এই দায়িত্ব থেকে অবসরের পরও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান, রাজনীতি ও সমাজ সেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজনীতি ও সমাজ সেবায় সম্মাননা পান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।