ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার গ্রামীন কাঁচা রাস্তাগুলো খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হওয়ায় বর্ষামৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তায় ছোট-বড় গাড়ি ও জনসাধারণ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়, দেখার যেন কেউ নেই। রাস্তা গুলো পাকা করনের দাবী এলাকাবাসীর। সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ধলহরাচন্দ্র প্রাইমারী স্কুলের সামনে থেকে বরিয়া প্রাইমারীস্কুল পযন্ত একটি জনগুত্বপৃর্ণ রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ধলহরাচন্দ্র, চরধলহরা, হাটুভাঙ্গা বরিয়াসহ ৫ গ্রামের মানুষ হাটবাজারে মালামাল নেওয়াও শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে যাতায়াত করে থাকে। রাস্তাটিতে কাদাপানির কারণে তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। অনেকে আবার লেখা পড়া ছেড়ে দিয়েছে।বর্ষা মৌসুমে পুরো রাস্তা কর্দমাক্ত থাকে, দেখে মনে হবে যেন ধানের চারা রোপনের জন্য হাল চাষ করা হয়েছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি খানাখন্দে ও গর্তে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোনো গাড়ি এ রাস্তায় এখন আর চলাচল করে না। প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, অসুস্থ রোগীরা। এতে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বরিয়া গ্রামের সাহেব আলী, চরধহরা গ্রামের শফি মন্ডল জানান এ এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার লোকের বসবাস করে। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে আমাদেরকে চলাচল করতে হয়। পুরো বর্ষায় কাদামাটি মাড়িয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য চরম কষ্টের। ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় যেতে কষ্ট হয়, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নিতে হয়, কোনো গাড়ি এ রাস্তায় ঢুকতে চায় না। ছেলে মেয়েদের ভালো জায়গা বিয়েও দেওয়া যায় না। সামাজিক অনুষ্ঠানাদী করা যায় না। সীমাহীন কষ্টে আছি আমরা। এ বেহাল রাস্তার বিষয়ে অনেকবার চেয়ারম্যান, মেম্বারদেরকে কাছে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়না বলে যে মাথায় আছে। আপনি তো সাংবাদিক আমাদের এই জনগুরুত্বপূর্ণ কাঁচারাস্তাটি নিয়ে একটু পত্রিকায় লেখা লেখি করেন তাহলে সরকারের নজরে আসলে পাকা হবে। আমরা মরার আগে যেন রাস্তাটি পাকা দেখে যেতে চায়। এদিকে দোহানাগিরাট ব্রীজের পাকার মাথা থেকে শীতালী বটতলা পযন্ত রাস্তাটি বর্ষায় পুরো কাঁদা হয়ে থাকে, দেখে মনে হবে যেন ধানের চারা রোপনের জন্য হাল চাষ করা হয়েছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি খানাখন্দে ও গর্তে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই গ্রামের পুলিশ সার্জেন্ট কামরুল হাসান জানান রাস্তাটি পাকা করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান শিমুলের কাছে বলেছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। রাস্তাটি পাকা করার ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার লিটন ও আকমল খান জানান আমরা রাস্তা টি পাকা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা এলজিআরডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রুহুল ইসলাম জানান, অনেক রাস্তা তো এখনো কাঁচা রাস্তা রয়েছে তার মধ্যে এটিও একটি। পর্যায় ক্রমে হবে। তার পর এসব রাস্তা গুলো সম্পন্ন স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা নিয়ন্ত্রণ করে।