দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর বন্যা কবলিত এলাকার দুস্থ পরিবারের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন দিনাজপুর ৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। এই দুর্যোগ পুর্ন আবহাওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে নেতা কর্মীদের সংগে নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং নিজ তহবিল থেকে চাল এবং টাকা বিতরণ করছেন তিনি। তিনি ৪০/৫০ টন চাল এবং ৫০/৬০ লক্ষ টাকা বিতরণ করেন। বৃষ্টি আর নদীর পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। এর ফলে খাদ্য সংকটে পড়ে যায় অনেক পরিবার। তাদের অধিকাংশই দিনমজুর। ইতোমধ্যে ঘোড়াঘাট উপজেলার ২ টি ইউনিয়নসহ বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়েনের নদী তীরবর্তী মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এসব দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিনাজপুর ৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। তিনি বন্যা কবলিত এলাকা ঘরে ঘরে পরিদর্শন করেন। তিনি বুধবার ৪ অক্টোবর দিনব্যাপি উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের কুলানন্দপুর, শ্রীচন্দ্রপুর, কৈপাড়া, পার্বতীপুর, সিংড়া ইউনিয়নেরডাঙ্গা, মারুপাড়া, ভেলামারী সাতপাড়া, গোবিন্দপুর, ভর্নাপাড়া, গুয়াগাছী, কুমুরিয়া, রামনগর, ঘোড়াঘাট পৌরসভার লালমাটি, বালুসহ বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে চাল ও নগদ টাকা বিতরণ করেন তিনি। এ ছাড়াও তিনি এই দুর্যোগ পুর্ন আবহাওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে নেতা কর্মীদের সংগে নিয়ে বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত এলাকায় তার ব্যক্তি উদ্যোগে এবং নিজ তহবিল থেকে ৪০/৫০ টন চাল এবং ৫০/৬০ লক্ষ টাকা বিতরণ করেছেন। খাদ্য সামগ্রী চাল পেয়ে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ বলেন, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি, বন্যার পানি বাড়িতে উঠেছে। যাওয়ার কোন জায়গা নেই। পানিবন্দি অবস্থায় ঘরে খাবার ফুরিয়ে এসেছে। এমন অবস্থায় আমাদের এমপি শিবলী সাদিক চাল ও দিয়েছেন। বন্যা মৌসুমে চাল টাকা পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে। তারা বলেন, দু’দিন যাবত বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় কাজেও নিচ্ছে না কেউ। হাতে পয়সাও নেই। চাল ডাল ফুরিয়ে গেছে। চাল ও টাকা পেয়ে সপ্তাহ চলে যাবে। আমাদের এমপি শিবলী সাদিক আরও দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আল্লাহ ওনাকে ভাল রাখুক। আমরা এমপি শিবলী সাদিককে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। মন্ত্রী হলে আরো হামরা শিবলী সাদিককে কাছে পামো। এলাকার আরো উন্নয়ন হবি।