কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে গত দুইদিনের টানা ভারী বর্ষনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পুকুর-ফিসারীর পাড় তলিয়ে গিয়ে ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ। এক টানা ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা ভেঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প, পৌরসভা এলাকা, বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল, পৌর মেয়র আবদুল কাইয়ুম খোকন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ উজ্জ্বল। ভারী বৃষ্টিপাতে রোপা আমন ও শাকসবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার প্রায় শতাধিক পকুর ও ফিসারী পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কয়েক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। হঠাৎ এমন বৃষ্টিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এলাকার উৎসুক জনতা পানিতে ভেসে আসা মাছ জাল ও ভেড় দিয়ে ধরার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এ দিকে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে স্কুল, মাদ্রাসা, এতিমা খানা ও বাসা বাড়ীতে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে। উপজেলার ধনকুড়া গ্রামের ফিসারী মালিক আহমুদুল হাকিম জাহিদ জানান, অতি বর্ষণে আমার ফিসারীর পাড় ডুবে সব মাছ ভেসে গেছে। এতে আমার ৮ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। পৌর এলাকার ধূলজুরী গ্রামের রোপা আমন চাষী গোলাপ মিয়া জানান, ভারী বর্ষণ ও উজানের পানি এসে আমার ৫০ শতক রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কৃষক ও মৎস্য চাষীরা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ আমন ফসল, সবজি বাগান ও মাছ চাষে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে প্রনোদণার দাবি জানিয়েছেন। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের প্রনোদণা দেয়ার লক্ষে সরকারের নিকট তালিকা তৈরি করে পাঠানো হবে।