নিয়ামতপুরে শ্রীমতি মুক্তি রানী (২৫) নামের এ গৃহবধুর আত্মহত্যার ঘটনায় দেবর, দেবরের স্ত্রী ও শশুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় পরোচনার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের হাসু ডাঙ্গা গ্রামে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন।
মৃত গৃহবধুর বাবা শুক্রবার থানায় মেয়ের দেবর সুফল মালি (২৮), তার স্ত্রী শ্রীমতী অর্চনা রানী (২৪) ও মেয়ের শ্বশুর বলাই মালির (৭৫) বিরুদ্ধে মামলা করেন। আত্ম হননকারী গৃহবধূ মুক্তি রানী হাজিনগর ইউনিয়নের হাসু ডাঙ্গা গ্রামের বিপ্লবের স্ত্রী।
নিহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১১ বছর পূর্বে বিপ্লব ও মুক্তির রানীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সামান্য বিষয় নিয়ে দেবর ও শশুরের সাথে তর্ক বিতর্ক হতেই থাকতো মুক্তি রানীর। বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশে মীমাংসা করা হলেও থামেনি গৃহবধুর ওপর মানসিক অত্যাচার। এমন ঘটনায় তার স্বামী বাড়ির মাঝে টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে আলাদা হয়ে যায়। তাতেও কমেনি মানসিক অত্যাচার।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মুক্তি রানীর চরিত্র নিয়ে গালিগালাজ করে তার শশুর ও দেবররা। এতে নিজ বাড়িতে বিষপান করেন ওই গৃহবধূ। সংবাদ পেয়ে তার স্বামী ছুটে এসে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্ত্রী মুক্তি রানীকে। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৯ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন মুক্তি।
মুক্তির রানীর বাবা অনাথ মালিক বলেন, মেয়ের জামাই ভালো হলেও তার শশুর, দেবর ও দেবরের স্ত্রী আমার মেয়েটিকে সব সময় জ্মাবালাতন ও মানসিক অত্যাচার করতো। তাদের অত্যাচারের কারণেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।