নির্বাচনের সাথে জঙ্গিবাদের খুব একটা সম্পর্ক নেই। তবে রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মতবিরোধের সুযোগ জঙ্গিরা নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজি এসএম রুহুল আমিন।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সাথে খুব একটা জঙ্গিবাদের সম্পর্ক আছে বলা যাবে না। তবে জঙ্গিরা সবসময় একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। নির্বাচন নিয়ে যেহেতু আমাদের মাঝে অস্থিরতা রয়েছে একারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মতবিরোধের সুযোগ জঙ্গিরা নিতে পারে। এজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি।
শনিবার দুপুরে পুলিশ লাইন্স স্কুল এ- কলেজের অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সেখানে 'উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
অতিরিক্ত আইজি এসএম রুহুল আমিন বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলে আমরা সবাই মিলে একসাথে সমন্বয় করে কাজ করছি। আশা করছি জঙ্গিরা বাংলাদেশের মাটিতে আর ঘাঁটি করতে পারবে না।
জঙ্গিবাদ দমন ও নির্মুলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের মাধ্যমে সারাদেশের প্রত্যেকটি মেট্রোপলিটন ও জেলায় একটা করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট খোলা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিট প্রধান ও তার সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। সেই প্রশিক্ষণ এই মাস থেকে শুরু হবে। চলবে আগামী ৩-৪ মাস।
তিনি আরও বলেন, উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ বিস্তারের যে পটভূমি রয়েছে সেই আলোকে উত্তরাঞ্চলে জঙ্গিবাদের প্রভাব বেশি। তবে দারিদ্রের সাথে জঙ্গিবাদের একটা সম্পর্ক রয়েছে। কেননা একসময় উত্তরাঞ্চল তথা রংপুর বিভাগে দারিদ্রতা, আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না। সেই সুযোগটা নিয়ে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটেছে। তবে শুধু রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলেই নয়,বর্তমানে সারাদেশেই উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ রয়েছে। বিশেষ করে দেশের রাজধানী ঢাকার নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে রয়েছে।
অতিরিক্ত আইজি বলেন, বর্তমানে ভার্চুয়াল জগতে জঙ্গিরা খুব এ্যাকটিভ আছে। সেখানে আমরা সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছি এবং মনিটরিং করছি। সেই সাথে জনসাধারণের সহযোগিতা ছাড়া জঙ্গিবাদ দমন এবং নির্মূল করা সম্ভব না। এজন্যই জনসাধারণের সাথে উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনাসহ অন্যান্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আবদুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান।