আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে উপকূলীয় মানুষের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার সংযুক্ত করার জন্য ৬দফা দাবিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সাতক্ষীরা কুরাইশী ফুড পার্কে সাতক্ষীরা জলবায়ু অধিপরামর্শফোরাম এর আয়োজনে ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় উপকূলের মানুষের ইশতেহার শীর্ষক উপকূল সংলাপথেকে এই দাবি জানানো হয়। সংলাপে উপস্থিত ছিলেনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাতক্ষীরা জেলার সহ-সভাপতি আবু আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হবি, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহিলা সম্পাদক ফরিদা আক্তার বিউটি, জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দেসসুলতান বাবলু, বাংলাদেশ জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির ইদ্রিস আলী, সিপিবির সভাপতি আবুল হোসেন, বাসদের সমন্বয়কারী নিত্যানন্দ সরকার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুনসুর রহমান, গণফোরামের সভাপতি আলী নুর খান বাবুল প্রমুখ। জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, সাংবাদিক মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এড. আজাদ হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক পত্রদুত পত্রিকার সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদণ্ডএর সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না দত্ত, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দিলারা বেগম, সাংবাদিক শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, আমিনা বিলকিস ময়না, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
সংলাপে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবতার জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণতায় বাংলাদেশের অবদান মাত্র ০.৪%১ (বিশ্ব ব্যাংক, ২০২২), তবে ক্লাইমেট ভালনারেবিলিটি ইনডেক্স ২০২০ অনুসারে দুর্যোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় এবং ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুসারে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম। ১৯৯১ থেকে ২০২০ এর মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ১৯৭টি বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে যা এদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থান সহ অন্যান্য সংকট সৃষ্টি করেছে। এ সংকট দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে আরো প্রকট। লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ম্যাপল ক্রফ্ট বিশ্বের ১৭০টি দেশের উপর জরিপ চালিয়ে যে ১৬টি দেশকে সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটারে উপনীত হবে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইউনাইটেড নেশনস ইন্টার-গভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেইঞ্জ (আইপিসিসি) আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মোট ভূমির শতকরা ১৭ ভাগ সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এর ফলে অন্তত ২ কোটি মানুষ হয়ে পড়বে গৃহহীন। ভৌগোলিক অবস্থান, ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দারিদ্র্য, দীর্ঘমেয়াদী লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষি প্রভৃতির কারণে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট উপকূলীয় এলাকার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার মানুষ, প্রকৃতি ও জীবন-জীবিকার সুরক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
সংলাপে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক ঘোষিত ‘নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮: সম্মৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’-এর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার উপর গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-ঝুঁকিগ্রস্ত এলাকা থেকে ভুক্তভোগীদের নতুন জায়গায় স্থানান্তর, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড-এর কার্যক্রম বাড়ানো, নগরকেন্দ্রিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলার রূপরেখা, পানি সমস্যার সমাধান ইত্যাদি।
অন্যদিকে বিএনপি তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮-এ জলাবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় টেকসই কৌশল গ্রহণের আওতায় উপকূলসহ সারাদেশে নিবিড় বনায়ন ও সুন্দরবনসহ অন্যান্য বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
জাতীয় পার্টির ১৮ দফা সম্বলিত নির্বাচনী ইশতেহারে শুধুমাত্র নদীভাঙ্গনে গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জাতীয় নীতি প্রণয়ন, লোকজ জ্ঞানের ব্যবহার, স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোসহ বিভিন্ন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
দেশের বড় দলগুলির এ সকল নির্বাচনী ইশতেহার ও পরবর্তীতে অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন জাতীয় বাজেটে তেমন গুরুত্ব পায়নি। ইতোমধ্যে সরকার ৩টি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে কিন্তু এর বাইরেও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা রয়েছে অরক্ষিত। সামগ্রিকভাবে দেশের অবকাঠামোগত ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটলেও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার বড় অংশের মানুষ যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন ঘন দুর্যোগ, সুপেয় পানির তীব্র সংকট, জীবন-জীবিকার সংকট, দুর্বল অবকাঠামো, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, প্রভৃতি মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। ফলশ্রুতিতে মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে উপকূল ত্যাগ করছে।
উপকূলের এই দীর্ঘমেয়াদী সংকট নিরসনে সরকার ও এনজিওরা দীর্ঘদিন কাজ করছে। কিন্তু এই গভীর সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। এজন্য আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনার পাশাপাশি উপকূলীয় মানুষের উন্নয়নে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি সংযুক্ত করার আহ্বান জানান বক্তারা।
উপকূলের মানুষ ও সুশীল সমাজ যে সকল দাবী সংযুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন তা হলো-
১. উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন:
উপকূলীয় অঞ্চলে ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অবকাঠামোগত, শিক্ষা, চিকিৎসা, অর্থনৈতিক, সামাজিক, কৃষি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়ন, এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সংযোগ স্থাপন ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।
২. নিরাপদ পানীয় জলের স্থায়ী ব্যবস্থা:
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। গত ৩৫ বছরে লবণাক্ততা পূর্বের তুলনায় বেড়ে ২ পিপিটি থেকে ৭ পিপিটি হয়ে গেছে। উপকুলের ৭৩% মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। দেশের এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য ইকোসিস্টেম ভিত্তিক বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার পানির স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। শুধুমাত্র সাতক্ষীরা অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন প্রতি বছর গড়ে ৩.৪৫% হারে কমে যাচ্ছে যা এ এলাকায় খাদ্য সংকট বাড়িয়ে তুলছে। এ ছাড়া লবাণাক্ততা বৃদ্ধি এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও ফেলেছে। চিকিৎসাবিদদের মতে এ এলাকার বসবাসকারীদের উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভোগার সম্ভাবনা বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে লবণাক্ততায় আক্রান্ত এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের প্রি-একলেম্পশিয়া ও উচ্চরক্তচাপের হার ৬.৮%-৩৯.৫% বেড়েছে।
৩. একটি বাড়ি একটি শেল্টার তৈরি প্রকল্প গ্রহণ:
দুর্যোগকালীন আশ্রয় গ্রহণের জন্য সরকার তিনটি বিভাগে ১৬টি দুর্যোগপ্রবণ জেলার ৮৬টি উপজেলায় মোট ২৪৮৭টি২০ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে যার মোট ধারণক্ষমতা ১৯,৮৯,৬০০ জন যা ওই এলাকার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫.৬% মানুষকে আশ্রয় দিতে পারে। এ ছাড়া দুর্যোগকালীন সময়ে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়াও বেশ কষ্টকর। গত দুইটি দুর্যোগে (আমফান ও ইয়াশ) ঝুঁকিগ্রস্তদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাবার জন্য পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে স্থানের অভাব, নারীদের নিরাপত্তাহীনতা, বাড়িতে রেখে যাওয়া দলিলপত্র ও সম্পদের নিরাপত্তাহীনতা, ইত্যাদি। এজন্য উপকূলীয় এলাকায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আদলে একটি বাড়ি একটি শেল্টার কার্যক্রম শুরু করতে হবে যাতে করে উপকূলীয় এলাকার মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তাদের নিজ নিজ বাড়িতে নিরাপদে অবস্থান করতে পারে।
৪. দুর্যোগ প্রবন এলাকা ঘোষণা করা:
সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলাকে জলবায়ু দুর্যোগ ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সামুদ্রিক দুর্যোগসমূহের ৭০% বয়ে যায় সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার উপর দিয়ে। এ ছাড়া ইউএনডিপি ও স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত ক্লাইমেট ভালনেরেবিলিটি ইনডেক্স অনুসারে, সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর মধ্যে খুলনা ও বাগেরহাট ৪র্থ (স্কোর ০.৫২) এবং সাতক্ষীরা ৫ম (স্কোর ০.৫১) অবস্থানে রয়েছে২৮। জলবায়ু পরিবর্তনকে মাথায় রেখে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলকে দুর্যোগপ্রবন এলাকা ঘোষণা করত: দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার ও মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৫. উপকূলের রক্ষাকবচ সুন্দরবন সুরক্ষা:
সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। সুন্দরবনের সম্পদ মানুষের জীবন জীবিকার অন্যতম উৎস এবং এর রয়েছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক ধারা। সুন্দরবন দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের রক্ষা কবচ। বিভিন্ন কারণে সুন্দরবন হুমকির সম্মুখীন। উপকূলীয় অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার জন্য ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ, সবুজ বেষ্টনী তৈরি, নদীর চর বনায়ন সহ সুন্দরবন সুরক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মাণ ও ভঙ্গুর স্লুইসগেট মেরামত করতে হবে:
আমাদের দেশে প্রায় ১৭,০০০ কি.মি. ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ৫,৭০০ কি.মি. বাঁধ দুর্বল থাকায় সামুদ্রিক জ্বলোচ্ছ্বাস এলাকায় লবন পানির অনুপ্রবেশ ঘটায়। জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে উপকুলের মানুষের জীবন, জীবিকা ও সম্পদ রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামত, ভঙ্গুর স্লুইসগেট মেরামত ও স্লুইসগেটগুলোর কার্যকরী ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে উপকূলীয় মানুষের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার সংযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম। তারা তাদের বক্তব্যে বলেছেন জলবায়ু পরিবর্তন এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে উপকূলীয় অঞ্চল একসময় জনমানব শূন্য হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় উপকূলের মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষায় বিশেষ রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।