কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষনে ১৫০২ হেক্টর চলতি রোপা আমনের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থের কবলে পড়েছে শত শত কৃষক।
ভারী বর্ষনে পানির স্রােত তীব্র হওয়ায় সবুজ ধানের চারা গুলো মাটির সাথে মিশে গেছে। আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এলাকার কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের উত্তর পুমদী, বিলচাতল, আতিরা, ডাহরা, বর্শিকুড়া, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মধ্য গোবিন্দপুর, পানান, ডাংরী, জিনারী ইউনিয়নের নামা জিনারী, গাবরগাঁও, হলিমা, চরহাজীপুর, সিদলা ইউনিয়নের নামা সিদলা, তারাপাশা, কড়ইকান্দি, হাঞ্জেরা, শাহেদল ইউনিয়নের নামা শাহেদল, বীর পাইকশা, কুড়িমারা, আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ভরুয়া, ধনকুড়া, চরজামাইল এবং পৌর এলাকার ঢেকিয়া ও ধুলজুরী এলাকায় এবারের টানা বর্ষনে সবচেয়ে বেশি রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় এখনো ধান জমির উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন, হঠাৎ এমন ভারী বৃষ্টি পাতে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে যা কোনো মতেই পোষাবার নয়। উত্তর পুমদী গ্রামের কৃষক আবদুল জব্বার জানান, আমার রোপনকৃত সব আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। আতিরা গ্রামের হেলাল উদ্দিন জানান, এবারের আকম্মিক বন্যায় আমার সর্বনাশ হয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে খামুকি। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ৮ হাজার ৪শ ৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ করা হয়েছে। হঠাৎ টানা ভারী বৃষ্টিপাতে ১৫০২ হেক্টর আবাদি জমির রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে। এদিকে জনপ্রতিনিধি ও কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ.কে.এম শাহজাহান কবির বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রণোদনার তালিকা তৈরির নিদের্শনা আসেনি। নিদের্শনা পেলেই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হবে।