১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৫ মাস পর দুবাই পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তারেক মিয়া (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার দুপুর ১টার দিকে বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পাকুন্দিয়া থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। আজ রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া তারেকের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মুনিয়ারীকান্দা গ্রামে। তার বাবার নাম মিলন মিয়া। ধর্ষণের পর থেকে তিনি দীর্ঘদিন যাবত পলাতক ছিলেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ মে রাতে নিজ ঘরে মেয়েটি একা শুয়েছিল। এ সময় তার ছোট ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিল তার মেয়েটির বাবা-মা। এ সুযোগে পাশের বাড়ির তারেক মিয়া কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে। পরে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। পরের দিন রাতে একই কায়দায় আবারও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। দুইদিন পর মেয়েটির বাবা-মা ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে বিষয়টি তাদের কাছে খুলে বলে মেয়ে। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ দরবার হয়। কিন্তু সন্তেুাষজনক মিমাংসা হয়নি। পরে ১৯ জুন তারেক মিয়াকে একমাত্র আসামি করে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ তার বাবা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ২ জুলাই পাকুন্দিয়া থানায় মামলাটি রুজু করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার এসআই নাজিমুদ্দিন বলেন, মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার পর অভিযুক্ত আসামি তারেক মিয়ার মুঠোফোনের অবস্থান (ট্র্যাকিং) জানার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। অবস্থান সনাক্ত হওয়ার পর জানা যায় শনিবার দুপুর ২টায় তারেক দুবাই যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছে। বিষয়টি জানার পর সেখানে অভিযান চালানো হয়। বিমানবন্দর থানা পুলিশের সহযোগিতায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।