নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)এবং সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) এর নাম ভাঙিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আলী সোবান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ঐ ব্যক্তির নাম মোঃ রহিত মিয়া, তিনি পেশায় বালু ব্যবসায়ী। আর অভিযুক্ত ঐ প্রতারকের নাম আলী সোবান পিতা মৃত-ইউনুস মুন্সী। তার বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গন্ডাবের গ্রামে।
ভুক্তভোগী মোঃ রহিত মিয়া জানান,ডেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ব্যবসা করেন তিনি। গত ৩/৪ মাস আগে একটি নতুন জায়গায় বালু উত্তোলনের কাজ পেলে তিনি কংশ নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে চাইলে আলী সোবান নামের ঐ ব্যক্তি ইউএনও-এসিল্যান্ডকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে বালু তুলার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা জানান। তবে শর্তদেন প্রতি ঘনফুট বালু’র জন্য ছোবান’কে দিতে হবে ১ টাকা করে। তাই তিনিও ব্যবসার কথা চিন্তা করে ১ লাখ ঘনফুট বালু’র জন্য ১ লাখ টাকায় রাজি হন। পরবর্তীতে কয়েক ধাপে সর্বমোট ৮০ হাজার টাকা দেন আলী সোবানকে এবং বালু তুলার কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর একদিন হঠাৎ উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন এসে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
মোঃ রহিত মিয়া বলেন,ব্যবসার কথা চিন্তা করে আলী সোবানের কথায় রাজি হয়েছিলাম। প্রথমে ১২ হাজার টাকা পরে আবার ১৬ হাজার টাকা দিয়ে বালু তুলার কাজ শুরু করলে নানান অযুহাত তুলে সে বাকি টাকা চান পরবর্তীতে আরও ৫২ হাজার টাকা নিয়ে সর্বমোট ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। পরে যতটুকু জানতে পেরেছি ইউএনও-এসিল্যান্ড কাউকেই টাকা দেয়নি সে নিজেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। এইসব প্রতারণা করাই ছোবানের কাজ। পরবর্তীতে আর তার দেখা পাওয়াও মেলেনা। আমার টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা তুলে ধরে। তাকে টাকা দেওয়ার সময়ের ভিডিও আছে আমার কাছে। তিনি আরও বলেন,আলী সোবান নিজ গ্রামে নিজেকে স্কুল-মাদ্রাসা,এতিম খানার প্রতিষ্ঠাতা,সাংবাদিকসহ নানান রুপ ধারণ করে থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আলী সোবানের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন,এটি মারাত্নক অপরাধ। এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।