কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন চিকিৎসকসহ ৫২টি পদ শুন্য থাকার ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসক-সংকটের কারণে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী যথাযথ সরকারি চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তদারকি আর সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা মূলতঃ ন্যুয়ে পড়েছে সরকারি এ হাসপাতালটি।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সেভাবে সেবার মানের হয়নি উন্নয়ন। ২০ জন ডাক্তারসহ শুন্যপদ রয়েছে ৫২টি পদ। বিভিন্ন শুন্যপদসহ নানা সমস্যা নিয়ে চলছে হাসপাতালটি। এখানে চিকিৎসকসহ ১৪৪টি পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৯২ জন। জরুরী প্রসূতী সেবা কার্যক্রম যেখানে ২৪ ঘন্টা চালু থাকার কথা, সেখানে চলে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এ সময় জরুরী প্রসূতী সেবার জন্য কোন রোগী আসলে তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রেরনের চেষ্টা করা হয়। শুধু প্রসূতী রোগী নয় জরুরী বিভাগে রোগী আসলে বেশির ভাগ রোগীতে রেফার্ড করা হয় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে। ফলে রোগীদের পরিবহন খরচসহ অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয় বলে জানান রোগীর স¦জনরা।
অপরদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘদিন থেকে বিকল হয়ে পড়ে আছে। আবারো নতুন একটি এক্সরে মেশিন আসলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় পড়ে আছে সেটিও। যার ফলে রোগীদের সামান্য পরীক্ষার জন্যই যেতে হচ্ছে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও নেই সনোলজিষ্ট বা প্রশিক্ষণ প্রাপÍ চিকিৎসক। এ্যাম্বুলেন্স থাকলে নেই ড্রাইভার। স্টোর কিপারের পদ শুন্য ফলে দায়িত্ব পালনে অফিস সহায়ক থাকায় ক্ষমতার বলে কিছু স্টাফ বিভিন্ন ফায়দা লুটছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি জরুরী বিভাগে বেশির ভাগ সময় চিকিৎসক না থাকায় অনেক সময় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় রোগীদের।
চিকিৎসা নিতে আসা মারুফা বেগম, মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আমরা জনসাধারণ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা-সেবা নিতে গিয়ে প্রতিদিন নানা হয়রানি ও সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি।
চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের সমস্যা সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো সাড়া মেলেনি। তিনি আরো বলেন, লোকবল কম থাকলেও আমরা আন্তরিকভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। রোগীদের হাসপাতালের সকল সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।