ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আসন্ন উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন একই আসনের মহাজোটের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। মৃধা বলেন, এবার আমি কোন দলের নয়। আমি সরাইল আশুগঞ্জের সকল পেশার মানুষের প্রার্থী। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কালীকচ্ছ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে নির্বাচনী পরামর্শ সভায় স্বাগত বক্তব্যে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন মৃধা। পরামর্শ সভা একসময় জনসভায় পরিণত হয়। উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দ জিয়াউল হক মৃধাকে প্রার্থী হতে ঐকমত্য পোষণ করেন। মৃধা বলেন, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুর পর আসনটি শুন্য হয়ে যায়। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর এখানে উপনির্বাচন। সরাইল আশুগঞ্জের মানুষের চাচ্ছেন আমি নির্বাচন করি। আপনাদের আনুষ্ঠানিক মতামতের জন্যই আজকের পরামর্শ সভা। আপনাদের উপস্থিতিই আমার প্রতি আপনাদের ভালবাসার বহি:প্রকাশ ঘটেছে। মৃধা বলেন, জাতীয় পার্টিতে এখন যুদ্ধ চলছে। রওশন এরশাদ পন্থীরা এই যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান করছি। জাপা’র একটি বড় অংশ চেয়েছিলেন পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর ওঁর স্ত্রীই হবেন দলের প্রধান। নিয়মানুয়ায়ী এমনটাই হওয়ার কথা। কারণ বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দলের নেতৃত্বে আসছেন ওঁর কন্যা। জিয়াউর রহমানের স্থলাভিসিক্ত হয়েছেন ওঁর স্ত্রী ও ছেলে। কিন্তু জাপাতে কেন ভিন্ন চিত্র? ডাকাতের মত রাতের অন্ধকারে জাপা’র নেতৃত্ব নিয়েছেন জিএম কাদের। এই অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়েই আমি জি এম কাদেরের চক্ষুশূল হয়েছি। জি এম কাদের আইনের তোয়াক্কা করেননি। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেননি। সরাসরি দল থেকে বহিস্কার করেছেন। এভাবে তিনি পারেন না। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। ওঁর বেআইনি কাজের বিরূদ্ধে মামলা করেছি। আদালত মামলা আমলে নিয়ে দীর্ঘ সময় দলীয় কর্মকা- থেকে উনাকে বিরত রেখেছেন। এটাই আমার বিজয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি এখন সকলের কাছে সমান। কারণ আমি ১০ বছর এমপি থাকাকালে সরাইল আশুগঞ্জের মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি বিশ্বাস করি সুযোগ পেলে তারা আমাকে ভোটের মাধ্যমে কাজের মুজুরি দিবেন। তবে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে একটা বিভ্রান্তি কাজ করছে। কারণ কথায় আছে, ‘চুন খেয়ে দই দেখলে ভয় করে।’ মানুষ লায়লাতুল নির্বাচন চায় না। আমার বিশ্বাস সরকার স্বল্প সময়ের জন্য এই নির্বাচনে কোন ধরণের অনিয়মের সুযোগ দিবেন না। জাপা’র সাধারণ সম্পাদক আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাপা’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হেলাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ খান, উপজেলা জাপা’র সভাপতি হুমায়ুন কবির, আশুগঞ্জ উপজেলা জাপা’র সাধারণ সম্পাদক মেরাজ সিকদার, লালপুর ইউপি জাপা’র সভাপতি আলফাজ মিয়া, জাপা নেতা আবদুল আজিজ, কালীকচ্ছ ইউপি জাপা’র সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছায়েদ হোসেন, সম্পাদক আবুল ফাতাহ মোহাম্মদ মাসুক, পাকশিমুল ইউপি জাপা’র সভাপতি কামাল হোসেন প্রমূখ।