নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় এক শিশু স্কুলছাত্রীকে যৌনপীড়নসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক (ভার:) এর বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। শিশুটি উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ব্যাপারে গত রোববার শিশু ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক (ভার:) মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শান্তকে একমাত্র অভিযুক্ত করে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১ টায় শ্রেণীকক্ষে থাকা ওই শিশুটির আরেক সহপাঠীকে বিদ্যালয়ের ছাদের ওপর রোদে দেওয়া মাছের শুঁটকি নিয়ে আসার জন্য প্রথমে পাঠান অভিযুক্ত শিক্ষক। এর কিছুক্ষণ পর শ্রেণীকক্ষে গিয়ে শিক্ষক তার ওই সহপাঠীকে ছাদের ওপর থেকে দ্রুত ডেকে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় শিক্ষককের কথা অনুযায়ী শ্রেণীকক্ষ থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। শিক্ষক তার পিছু পিছু ছুটেন। পরে ওই বিদ্যালয়ের ভবনের সিড়িকোঠায় সামনে পৌঁছা মাত্রই প্রধান শিক্ষক ওই শিশু ছাত্রীটিকে জড়িযে ধরে যৌনপীড়নসহ আপত্তিকর স্থানে হাত দেন। এ সময় ওই শিশু ছাত্রীর ডাক চিৎকারে বিদ্যালয়ের ছাদের ওপর থেকে ওই শিশু ছাত্রীটির সহপাঠীসহ অনেককে আসতে থেকে সিঁড়িকোঠায় ওই ছাত্রীকে রেখে বিদ্যালয়ের অফিস রুমে চলে যান ওই প্রধান শিক্ষক (ভার:) মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শান্ত। পরে সহপাঠীকে নিয়ে ওই শিশু ছাত্রীটি বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে সে। শিশু ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক (ভার:) মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শান্তকে একমাত্র অভিযুক্ত করে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক স্থানীয়রা বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভার:) মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শান্ত এর নৈতিকতা ভালো নই। ওই শিশু ছাত্রীটির বাবা বলেন, আমার মেয়ের ঘটনায় কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ দেওয়ার আগে গত ৫ অক্টোবর ন্যায় বিচার চেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছিলাম। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহানারা খাতুন বলেন, অভিযোগটি পেয়ে গত সোমবার উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সরোয়ার জাহানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় নেওয়া হবে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক (ভার:) মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শান্তের নিকট জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গ্রামের একটি কুচক্রী মহল আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক এ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।