লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁপারহাট পরশুরাম এলাকায় সাপের কামড়ে সুমী আক্তার নামে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে বাড়ি থেকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত সুমি আক্তার উপজেলার পশুরামপাড়া এলাকার উসমান আলীর মেয়ে এবং চাপারহাট উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সুমি মঙ্গলবার রাতে পড়াশোনা ও খাওয়া শেষ করে তার বিচানায় শুয়ে পড়ে। এদিকে তার বিছানায় আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল একটি বিষধর সাপ। পরে গভীর রাতে বিষাক্ত সাপটি সুমির ডান হাতের বুড়ি আঙ্গুলে ছোবল মাড়লে সে চিৎকার দিয়ে ওঠে। সুমীর চিৎকারে তার পরিবারের লোকজন ছুটে আসে। এদিকে সাপের বিষাক্ত ছোবলে সুমির শরীরে বিষ ছড়িয়ে গেলেও পরিবারের লোকজন তা বুঝতে না পেরে ঝাড়ফুঁক দিয়ে সুস্থতার চেষ্টা করে। এর পরপরই সুমির সমস্ত শরীর নীল বর্ণ হতে থাকে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সকালে সুমিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের দাদা জয়নাল আবেদীন জানায়, আমরা বুঝতে পাইনি যে সুমিকে সাপে কামড় দিয়েছিল। সে শুধু বলতেছিল তার আঙ্গুলে কী যেন কামড় দিয়েছে। পরে শরীরে ব্যথার কারণে তার শরীর নাড়তেই দেয় না সুমী। তার পুরো শরীর ব্যাথায় কাতর হয়ে গিয়েছিল। ব্যথায় শরীরে হাত দিতে না দেয়ার কারণে তাকে হাসপাতালে নিতে দেরি হয়েছিল। ভোরের দিকে খুব বেশী অসুস্থ হলে সকালে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।