আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা-০২ আসনে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রাক্তন এপিএস ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ-সচিব ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন খান। পাশাপাশি তিনি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে সর্বোচ্চ উন্নত চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ দাবির কেন্দ্রীয় প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন।
তিনি কুমিল্লা-০২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশায় হোমনা ও মেঘনা এ দুই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে নিরবচ্ছিন্ন গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাধারণ মানুষের কাছে তার এ ছুটে চলা এবং মেলামেশা বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলেছেন। তার এ নিয়মিত গণসংযোগ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী হোমনা উপজেলা সদর বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, চৌরাস্তা, সিনাইয়া, মাথাভাঙা কাঠ বাজার, জয়দেবপুর সাদ্দাম বাজার, বাবরকান্দি, মিরাশ, নিলখী এলাকায় গনসংযোগ করেন। পরে তিনি সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম এমকে আনোয়ারের কবর এবং সোলাইমান শাহর মাজার জিয়ারত করেন। শেষে তিনি এমকে আনোয়ারের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
মতবিনিময়কলে নিজেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী উল্লেখ করে এই সাবেক আমলা ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হোমনার সকল উন্নয়নের সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব এম কে আনোয়র চাকরি থেকে অবসর নিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে একে একে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি সরকারের সময়ে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। তার এ রাজনৈতিক জীবনে হোমনা, মেঘনা ও তিতাস উপজেলার উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন ঘটান। আর আমি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস-২ হিসেবে উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বে থাকায় স্যারের এসব উন্নয়নের পরতে পরতে আমিও যোগ্য সহযোগিতা দিয়েছিলাম। সেই থেকেই আমিও হোমনা-মেঘনার মানুষের সঙ্গে নাড়ির টান উপলব্ধি করি। আমাকে এ এলাকা মনুষ অনেক ভালোবাসে। আমিও এখানকার সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- হোমনা পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি হারুন আল রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য মহসীন বেপারী, জয়পুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. ইমরান হোসেন, হোমনা বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম, মেঘনা উপজেলা বিএনপি নেতা তপু, হুমায়ূন কবির, তিতাস উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক ফুল মিয়া, কড়িকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মনির হোসেন, শাহিদুল ইসলাম, তিতাস উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রুবেল আহমেদ খান রাজ, বলরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, কলাকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজান মেম্বার, মো. কামাল মেম্বার, তিতাস উপজেলা নবীন দলের সাবেক সভাপতি জুয়েল খান, তিতাস উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মনির হোসাইন, কলাকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক এমআই টিপু, বলরামপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক একে শামীম ওসমান, রাজা মিয়া মেম্বার ও ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ সরকার প্রমুখ।