বগুড়ায় নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট নিরসন এবং সিন্ডিকেট ও মূল্য বৃদ্ধি করে সংকট সৃষ্টি না করতে পারে সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিশেষ সভার আয়োজন করেন জেলা প্রশাসকের সাইফুল ইসলাম জেলা প্রশাসক। ইতি পূর্বেও আলুর মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবসায়ীরা যে ভাবে জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করেছে আগামীতেও যেন একই ভাবে সহায়তা করে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। সেই সাথে আগামী সীজন আসা পর্যন্ত যাতে সরকারী নির্ধারিত মূল্যে আলু বাজারজাত করা হয় সে বিষয়ে কোল্ড স্টোরেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও আড়াৎদারদের বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান। অপরদিকে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন বাজারে সকল ব্যবসায়িক একক ভাবে আমাদের সহযোগিতা করেন না, এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান করেছেন। এদিকে ১৬ জন ক্লোজ স্টোর মালিক কথা দিয়ে কথা রাখেনি এদের মধ্যে ওই সভায় উপস্থিত হন মাত্র ৩ জন মালিক। এছাড়াও কাহালু উপজেলার টিআর কোল্ড স্টোরেজ প্রশাসনকে কোন সহযোগিতা করেননি। আর কোল্ড স্টোরেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ড.হোসনেয়ারা বেগম বলেন, নখ ও দন্ত বিহীন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে সাধারণ আলু ব্যবসায়ীরা কোন সহোযোগীতা করছে না। এরকম অভিযোগ তুলে বলেন জেলা প্রশাসন সাধারণ আলু ব্যবসায়ীদের ডেকে জবাব দিহিতার আওতায় এনে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অনুরোধ করেন। ওই সভায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ্যডিশনাল পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন বলেন যে সকল ব্যবসায়িকরা ১০/১৪ টাকার আলু ৫০ টাকায় বিক্রি করছে এরা চরম অমানবিক কাজ করছে এরকম সিন্ডিকেট ও কালোবাজারিদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।ব্যবসায়ীকদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে, কৃত্রিম ভাবে মূল্য বৃদ্ধি কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। পরিশেষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বলেন, যারা আমাদের সার্বিক সহযোগীতা করছেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তিনি আরও বলেন আপনারা এখন আলু না দিলে আমরা বাহিরের বাজার থেকে আলু ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি সেই সাথে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জদের মাঠ পর্যায়ে সরকারী নির্ধারিত মূল্যে আলুসহ নিত্যপণ্য বিক্রির তদারকি ও কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ প্রদান করেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জ গন সহ জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।