লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সিটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী ফিরোজ মাহবুব এ অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী জেলার কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের হাজী মুরশিদ আলমের পুত্র।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার রাতে প্রবাসী ফিরোজ মাহবুব এর স্ত্রী নুরু নাহার বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে চিকিৎসক জানাতুস্ ফেরদৌস রুনার পরামর্শে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে না নিয়ে তাকে সিটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাদের বাচ্চা সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে নরমাল ডেলিভারির আশ্বাস দেওয়া হয়। পরে রোগীর অবস্থার অবনতিতে তাৎক্ষণিক সিজারের অনুরোধ করলেও চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস রুনা তা করেননি। নবজাতক জন্মের পর মাথায় ও চোখে ক্ষতসহ দাঁড়ালো আঘাতে রক্ষসহ চিহৃ দেখা যায়। পরে নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়। এ অভিযোগ জানানো হলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ রোগীর অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন ও ক্ষতিগ্রস্থদের মামলা করার পরামর্শ দেন।
স্থানীয়রা জানান, এ হাসপাতালে রোগীরা না জেনে চিকিৎসার জন্য আসেন। এর আগেও বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ভোর ৫ টার দিকে ভুল চিকিৎসায় মারা যায় মো. আবু ছায়েদ (৫৫) নামে এক রোগী। ১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রুনার ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির জমজ দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ১৩ এপ্রিল এক প্রসূতির একসঙ্গে সাত সন্তান জন্ম দানের পর নবজাতকেরা সবাই মারা যায়। অভিযোগ রয়েছে রুগীদের সাথে দূর ব্যবহারসহ সিট ভাড়াসহ অতিরিক্ত টাকা গ্রহনের।
এসব অভিযোগ অস্বিকার করে সিটি হাসপাতাল এর হিসাব রক্ষক ফারুক আহাম্মেদ জানান, নরমাল ট্রাই করতে হলে নবজাতক মাথায় আঘাত পাবেই। চিকিৎসায় অবহেলা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবহেলার প্রমাণ মিললে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনরা ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন।
এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস রুনার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।