রংপুরের পীরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ঘর নির্মাণ হচ্ছে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে। উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সামগ্রীক তত্বাবধানে ওই ঘরগুলো নির্মান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। শনিবার দুপুরে বড় আলমপুর ইউনিয়নের পাটগ্রাম মৌজায় নির্মানাধীন ১৮ টি ঘর চলমান নির্মান কাজ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,গাথুনীর কাজে ব্যবহৃত বেশিরভাগ ইট নম্বর ছাড়া। কোন কোন ক্ষেত্রে ৩ নং ,পিকিট এমনকি ঝামা ইটও ব্যবহার করা হচ্ছে। বালুর মোন মান নেই। ভীট বালুও গাথুনীর কাজে ব্রবহার করা হচ্ছে। এর আগে বেজ ঢালাই ও গ্রেট বীম ঢালাইয়ের কাজেও ওই বালুই ব্যবহার করা হয়েছে। কাদিরাবাদ এলাকায় গিওে একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে। নির্মানকাজে যেসব লেবার ও মিস্ত্রী কাজ করছেন তারা সকলে সুদুর নীলফামারী থেকে আমদানীকৃত। একই এলাকার একজন ঠিকাদারকে মৌখিকভাবে এসব ঘর নির্মানকাজ ঠিকা দেয়া হয়েছে। তিনিই এদের সাব ঠিকা দিয়েছেন। এজন্য লেবার মিস্ত্রীরা নিজ দায়িত্বেই কাজ করছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, চলতি অর্থ বছরে এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৩৭ টি ভুমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ পাটগ্রাম মৌজায় ১৮ টি,কাদিরাবাদে ৮ টি, পঁচার পাড়ায় ৩টি ঘর নির্মানের জন্য নির্বাচন করেছেন। এসব এলাকার স্থানীয়রা ঘর নির্মানের একই চিত্র প্রত্যক্ষ করেছেন। রাজমিস্ত্রিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইট ও বালুর মান ভালো নয়। অধিকাংশ ইট নিম্নমানের। উপজেলা প্রশাসন এসব যাবতীয় মালামালের যোগান দেয়, তারা শুধু নির্মাণ কাজ করেন। তারা আরও বলেন.শেষ মওসুম তো ? তাই এর চাইতে ভাল মানের আর কোন সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় উপজেলায় ৩৭ টি ভূমিহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে। ২ শতাংশ জমিসহ আধাপাকা প্রতিটি ঘর নির্মাণে কাজে ব্যয় বরাদ্দ রয়েছে,৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর এসব গৃহ নির্মাণ কাজে ৫ সদস্যের কমিটি রয়েছে। কমিটির মধ্যে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভুমি, উপজেলা প্রকৌশলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। পাটগ্রাম এলাকার লোকজন অভিযোগ করে বলছেন, শুধুমাত্র তদারকির অভাবেই সরকারি বরাদ্দের এই ঘরগুলো নিম্নমানের করা হচ্ছে। ঘর নির্মাণের শুরুতে ২/৩ নম্বর ইট দিয়ে ভিত্তি দেয়া হয়েছে। এ বিষটি নিয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ ছিল ভালো ইট ছাড়া কাজ করা যাবে না। এরপর কিছুটা ভালো ইট নিয়ে আসা হয়। এগুলোর মধ্যে সব শ্রেণির ইট রয়েছে। ভাটাগুলোতে ইটের শ্রেণি অনুযায়ী স্তুপ করা থাকে। সাধারণত মানুষ স্তুপ দেখে ইটের মান নির্নয় করা সম্ভব হয় না। বড় আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন-ইট নি¤œমানের এ ঘটনা সত্য। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইতে তিনি বলেন-কাজের মান ভাল,খারাপ ইট বাছাই করে সেগুলো ফেরত দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন এসব জানতে হলে আবেদন করতে হবে।