লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষতুলি এলাকায় মালদহ নদীতে একটি ব্রীজ না থাকায় শিক্ষার্থীসহ তিন ইউনিয়নের ৫/৭টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে একাধিকবার ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি মিললেও দূর্ভোগ নিরোধে মিলেনি ব্রিজ। স্থানীয়দের অভিযোগ ব্রীজ নির্মাণ এখনো প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। গত কয়েক বছরে একাধিকবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থলে এসে মাপযোগ ও মাটি পরীক্ষার কাজ করলেও বাস্তবে কোনো ফল যাচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এলাকাবাসীর দাবি মহিষতুলির মালদা নদীর উপর ব্রীজটি নির্মান হলে চলাচলে সুবিধার পাশাপাশি ওই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিষতুলি, ফলিমারী, দুলালী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর, উত্তর গোবধা, শঠিবাড়ী এবং পার্শ^বর্তী উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচী এলাকার মানুষজন নিয়মিত চলাচল করেন মহিষতুলির মালদা নদীর উপর দিয়ে। নদীতে একটি ব্রীজ না থাকায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের। স্থানীয় বাসিন্দা জমসের আলী বলেন, ব্রীজ না থাকায় চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। কৃষকদের ফসল পারাপারেও হচ্ছে ভোগান্তি। মহিষতুলির বাসিন্দা রমনি কান্ত(৫৫) বলেন, ব্রীজ না থাকায় অনেক কষ্টে চলাচল করতে হয়। কয়েকবছর থেকে শুনে আসছি ব্রীজ হবে, বুড়ো হয়ে গেলাম ব্রীজটি আর হলো না। দুলালীর বাসিন্দা জেলে খোরশেদ আলম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এলজিইডির লোকজন এসে মাটি পরিক্ষা ও মাপামাপি করে গেছে কিন্তু ফলাফল শূন্য। লোহাকুচী থেকে সঠিবাড়ী যাতায়াত কারী রহমত বলেন, ছোটবেলা থেকে প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াত করতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু নদীত ব্রীজ না থাকায় অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে দূর্ভোগের শেষ থাকেনা। নদী পার হতে না চাইলে ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। সঠিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আবদুল খালেক বলেন, নদীর একপাশে দুটি বিদ্যালয় ও অপর পাশে মাদ্রাসা রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ এই পথে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যা-তায়াত করে। ব্রীজটি নির্মান হলে চলাচলে দুর্ভোগ কমার পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে দাবি তার। তবে জনগণের ভোগান্তি নিরসনে স্থানীয় সংসদ সদস্য সম্প্রতি মহিষতুলিতে ব্রিজ নির্মাণের জন্য সুপারিশ পত্র দিয়েছেন জানিয়ে এলজিইডির আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাইদুল ইসলাম প্রকৌশলী বলেন, মহিষতুলির মালদহ নদীতে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।