ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা ছাড়া ঘরে ফেরার উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আবদুল খালেক। তিনি বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনে সারা বাংলার নিপিড়িত মানুষ যোগ দিয়েছে। সরকারের পদত্যাগ ছাড়া আমরা আর ঘরে ফিরবো না। প্রয়োজনে টেনে হেচড়ে সরকারকে নামিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। মানুষের ভোটের অধিকার ফেরানো হবে। মানুষের দ্রব্যমূল্যের র্উর্ধগতি থেকে রক্ষা করা হবে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রঘোষিত অনশন কর্মসূচিতে রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক এসব কথা বলেন। দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করে রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি। অনশন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, রংপুর জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, রংপুর মহানগর যুবদল সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন, জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল, মহিলাদল, কৃষকদল, তাঁতীদলের নেতারা। এ সময় বক্তারা বলেন, এখন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় সুচিকিৎসার অভাবে তার অসুস্থতা বেড়ে এখন তাঁর জীবন হুমকির মুখে। একজন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে সরকার অমানবিক আচরণ করছে। সরকার চায় না খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হোক। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, আইনগতভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন অযুহাতে সরকারি হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি। তার পরিবার থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দাবি জানালেও সরকার কোনো কর্ণপাত করছে না। জনগণ সবকিছু দেখছে পর্যবেক্ষণ করছে, যেকোনো সময় দাবানলের মতো দাউ দাউ ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়বে। তখন সরকার পালাবার আর কোনো পথ খুঁজে পাবে না। এ সময় অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবি জানান। অনশনে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। অনশনের কারণে রাস্তার একপাশ বন্ধ হওয়ায় পুরো নগরীতে তৈরি হয় যানজট। বেলা ১১ থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে।