মুলাদীতে ইলিশ রক্ষা অভিযানে আড়িয়ালখাঁ ও জয়ন্তী নদী থেকে ৭ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। শনিবার বেলা ১২টার দিকে নাজিরপুর নৌ-পুলিশের অভিযানে ৪ জেলে এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযানে ৩ জেলেকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৩জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে জেল এবং ৪জনের নামে নিয়মিত মামলা করেছে নৌ-পুলিশ। এ সময় ২ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং জব্দকৃত ১০ কেজি ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ প্রবীর মিত্র জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৪ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরআলিমাবাদ গ্রামের আবুল হোসেন (৩৫), সাহেবরামপুর গ্রামের শাহ জালাল (২৪), মুলাদী উপজেলার আলিমাবাদ গ্রামের বিজয় পাল (২১) এবং সরোয়ার হাওলাদার (২৬)। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন জানান, শনিবার দুপুরে জয়ন্তী নদীতে অভিযান চালিয়ে ইলিশ শিকারের অপরাধে চরমালিয়া গ্রামের দুলাল হাওলাদারের ছেলে আবদুল মোতালেব (১৭), সোহরাব আকনের ছেলে সোহাগ আকন (২২) এবং সেলিমপুর গ্রামের হান্নান হাওলাদারের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৫)কে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হলে ইউএনও মো. নিজাম উদ্দীন ভ্রাম্যমান আদালতে সোহাগ আকন ও বিল্লাল হোসেনকে ১ বছর করে কারাদ- দেন। আবদুল মোতালেব অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে মাছ ধরতে পাঠানোর অপরাধে পিতা দুলাল হাওলাদারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
অভিযানে উদ্ধার হওয়া প্রায় ১০ কেজি ইলিশ মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ২ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দের পর তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন।