ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় সনাতন ধর্মের অনুসারী হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহত ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাৎসবকে ঘিরে সর্বত্রই সাজ সাজ রব। কালীগঞ্জ উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৯৯টি পূঁজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুর্গাৎসব। এসব মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ; এখন চলছে প্রতিমার রংতুলির আঁচড় দেওয়ার কাজ। প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবু উজ্জ্বল কুমার অধিকারী জানান, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপিআনোয়ারুল আজীম আনার কালীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি পূঁজামন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। আগামী ২০ অক্টোবর শারদকালে মহালয়ার তিথিতে পুরোহিতের বেদমন্ত্র উচ্চারণ, ঘণ্টা, শঙ্খধ্বনি, মায়েদের উলুধ্বনি আর ঢাকের তালে এই বিশ্ব ধরণিতে ঘোটকে চড়ে নেমে আসছেন মহামায়া দশভুজা শ্রী শ্রী দুর্গা মাতা। এ বছর দুর্গাপূঁজা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে উদযাপন করতে পারেন এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবশ্যই সদা সচেষ্ট থাকবেন। আনসার, পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি পূঁজামন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের বিট অফিসার সব সময় টহলে থাকবেন। আমরা চেষ্টা করছি যাতে সুন্দর ভাবে সবজায়গায় পূঁজা অনুষ্ঠিত হয়। পূঁজামন্ডপ গুলিতে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে সাধারণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণ পূঁজামন্ডপ গুলিতে ৪ জন, ঝূঁকিপূর্ণ পূঁজামন্ডপ গুলিতে ৬ জন ও অধিক ঝূঁকিপূর্ণ পূঁজামন্ডপ গুলিতে ৮ জন করে আনসার সদস্য সার্বক্ষনিক ডিউটিতে থাকবেন। পুরুষ মহিলা মিলে মোট ৫শ ৭৮ জন আনসার সদস্য কাজ করবে।