ঢাকুল্যা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারি ছিলেন নিবাস চন্দ্র রায় (৬৫)। চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ সেপ্টেম্বর। রোববার বিদ্যালয়ের সহকর্মীরা তার বিদায় অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ ঠিক করে রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় আয়োজনের করে। তৈরি করা হয় মানপত্র। কিনে আনা হয় ক্রেস্টও। কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৩০মিনিটে বিদায় অনুষ্ঠানের ডায়েচে বক্তৃতা দেয়া অবস্থায় এমন চিরবিদায়ে শোক সাগরে ভেসেছেন তার সহকর্মী, শুভাকাক্সক্ষী ও স্বজনরা। অফিস সহকারি নিবাস চন্দ্র রায় কে বিদায় দিতে সবকিছুই প্রস্তুতি নেয় পার্বতীপুর উপজেলার ঢাকুল্যা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকরা অনুষ্ঠানে আনেন উপহার। তার আগে এ অফিস সহকারি কে সম্মান জানাতে সহকর্মীরা তৈরি করেন মানপত্র। ঘটা করে তাকে বিদায় দিতে কিনে রেখেছিলেন ক্রেস্টও।
ঢাকুল্যা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান প্রামানিক বলেন, নিবাস চন্দ্র রায় আমাদের অফিসের অত্যন্ত প্রিয় মানুষ ছিলেন। তাকে সুন্দরভাবে বিদায় জানাতে মানপত্র ও ক্রেস্ট আনা হয়েছে। কিন্তু যার জন্য আমাদের এ আয়োজন তিনিই আমাদের চিরবিদায় জানিয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ী পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের মরনাইপান বাজার। তিনি ১৯৯৩ সালের ১৫ জানুয়ারী যোগদান করেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চাকুরী জীবনের ইতি টানেন নিবাস চন্দ্র রায়। কিন্তু তার বিদায় অনুষ্ঠান হবে সেদিনই আমাদের করতে হয়েছে তার অন্তেষ্টিক্রিয়া। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। পার্বতীপুর উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল হক প্রধান বলেন, বিদায় অনুষ্ঠানে এ সময় সব সহকর্মীর চোখে ছিল অশ্রুর বান।