মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে মারুফা আক্তার (১৬) নামে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চললেও সরাসরি তাদের দেখা হয়নি। এরইমধ্যে চলছিল তাদের বিয়ের কথাবার্তা। তবে বিয়ে করে সংসার পাতার আগেই মোবাইলে প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে মারুফা। শনিবার ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের দুলালী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত মারুফা ওই গ্রামের মো. মান্দার মোল্যার মেয়ে। তিনি স্থানীয় ব্রাহ্মণডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। গত রোববার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মারুফার লাশ দাফন করা হয়। মারুফার মা ও ভাই জানান, মারুফা মেধাবী ছাত্রী ছিল। কিন্তু কয়েক মাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. কাদের ফকিরের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী কাঞ্চন ফকিরের সঙ্গে মারুফার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানার পর ওই ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারুফাকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। তারা আরও জানান, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুই মাস আগে কাঞ্চনের পরিবার এসে মারুফাকে দেখে যান। তবে ছেলের পরিবারের পছন্দ না হওয়ায় তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তবে মারুফার সঙ্গে কাঞ্চনের কথা হতো ফোনে। শনিবার সন্ধ্যায় দুইজনে ফোনে কথা বলতে বলতে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরে মারুফা গলায় ফাঁস দিয়ে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। নগরকান্দা থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ঘরের আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় মারুফাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, কি কারণে মারা গেছে তা জানি না। এ বিষয় পরিবার পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।