দিঘলিয়ার সেনহাটি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাংবাদিক ডাঃ সৈয়দ আবুল কাসেমের বাড়ির আঙ্গীনায় রাখা ইজিবাইকের ব্যাটারী ও লাইট চুরির ঘটনার ৭ দিন অতীত হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১১ অক্টোবর রাতে সাংবাদিক কাসেমের বাড়িতে ইজিবাইক নিয়ে কয়েকজন আত্মীয় বেড়াতে আসেন। রাত ১ টার পর বাড়ির সদস্যরা ঘুমাতে গেলে সংঘবদ্ধ চোর চক্র বাড়ির আঙ্গীনায় রাখা ইজিবাইকের জ¦ালিয়ে রাখা লাইট ও ৪ টা ব্যাটারী খুলে নিয়ে অবাধে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে দিঘলিয়া থানাকে ঘটনা প্রথমে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়। অপর দিকে সেনহাটি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই হাসনকে মৌলিকভাবে জানানো হয়। চুরি ঘটনার ৭ দিন গত হলেও আসামি গ্রেপ্তার ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ দিকে চন্দনীমহল স্টার জুট মিল ২ নং গেট-পথের বাজার রোডের বিভিন্ন মোড়ে নানা অপরাধী কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত প্রকট। সমপ্রতি একটা মহল পুরোনো ব্যাটারীর মাঝে চোরাই ব্যাটারীর রমরম ব্যবসা শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের সাথে এ চোর সিন্ডিকেটের যোগ সূত্রিতা আছে বলে জানা গেছে। দিঘলিয়ায় সাংবাদিকের বাড়ি থেকে ইজিবাইকের ব্যাটারী চুরির ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও অপরাধী গ্রেপ্তার ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সাংবাদিক আবুল কাসেম এ প্রতিবেদককে জানান, আমার পক্ষ থেকে দিঘলিয়া পুলিশ ও সেনহাটি ফাঁড়ি ইনচার্জকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানোর পরও পরও পুলিশ কাউকে শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এমনকি পুলিশের কোনো সদস্য সরেজমিনে তাঁর বাড়ীতেও যায় নি। উল্লেখ্য স্টার ২ নং গেট- পথের বাজার রোডের কাটানীপাড়া স্কুলের মাঠসহ রাস্তার কয়েকটা মোরে অপরাধী কিশোর গ্যাংয়ের আখড়া। পুলিশের আগমনে পাশের বাড়ির মধ্যে দৌড়ে চলে যায়। গাড়ি দূরে গেলে তারা আবার রাস্তায় এসে আড্ডা দেয়। এলাকাবাসী এদের অপতৎপরতার কাছে জিম্মি। একটা প্রভাবশালী মহলের নাম ভাঙ্গীয়ে এরা বুক ফুলিয়ে চলে বলে। স্থানীয় কিশোরদের সাথে এসে যোগ দেয় উত্তর চন্দনীমহল (ভোগদিয়া) ও সরিষাপাড়া এলাকার অপরাধী কিশোর গ্যাং। মাঝে মাঝে ছিনতাই, ইভটিজিং, চাঁদাবাজী, চুরি ও নানা নেশা দ্রব্য আমদানি ও বিক্রি, মারামারি, আধিপত্য বিস্তারে নানা মহড়া এদের নিত্য দিনের কাজ। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টা আমলে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও চোরাই মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।