সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। ভাস্কররা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরীর কাজ সেরে এখন করছেন রং তুলির কাজ। আগামী ২১ অক্টোবরের আগেই সকল কাজ সম্পন্ন করবে তারা। খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় এবার ৬৩ টি পূজা ম-পে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব পালিত হচ্ছে। আগামী ২১ অক্টোবর মহা ষষ্টির মাধ্যমে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। মা দুর্গার এবার ঘোড়ায় আগমন আর গমনও করবেন ঘোড়ায়। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মীয়দের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। দিঘলিয়া উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জাঁকজমক ভাবে দুর্গাপূজা পালিত হয় সেনহাটি ইউনিয়নের সেনহাটি শিব মন্দিরে। প্রতিবছর দেশ বিদেশের শত শত ভক্তরা শিব মন্দিরে আসেন দুর্গা মায়ের দর্শনে। তবে এবার ভক্তদের আকৃষ্ট করতে চন্দনীমহল সার্বজনিন মন্দিরে ও দিঘলিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সৌমিত্র দত্তের বাড়ির মা দুর্গার সাথে অনেক দেব দেবীর প্রতিমার মাধ্যমে সনাতন ধর্মের সৃষ্টির রহস্য তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তারা। ভাস্কররা তাদের রং তুলির ছোয়ায় প্রতিমা গুলিকে উজ্জ্বল করে তুলছেন। এক একজন ভাস্কর ৫ থেকে ৬ টি মন্দিরের প্রতিমা তৈরীর কাজ নিয়েছেন। রং তুলির কাজ সেরে সময় মতো প্রতিমাগুলিকে মন্দিরে তুলে দেয়ার জন্য ভাস্কররা রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলার প্রতিটি পুজা ম-পে সরকারি অনুদান দেয়া হচ্ছে। দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানান, এবার ৬৩ টি পুজা ম-পে দুর্গোৎসব পালিত হবে। দুর্গোৎসব চলাকালে কোন ম-পে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। টহলে থাকবে র্যাব ও পুলিশ ও আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা। পাশাপাশি থাকবে পূজা মন্ডবে নিয়োজিত নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীগণ। অশুভ শক্তি ও অসুর শক্তি বিনাশে এবার দুর্গা মায়ের আগমন ঘটবে এমনটায় আশা করছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। দিঘলিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু সৌমিত্র দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রদীপ কুমার বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে জানান, এবার দিঘলিয়ার ৬৩ টি পূজা মন্ডবে নিরাপদ, কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন হবে। সরকারিভাবে নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রত্যেকটা পূজা মন্ডবের নিজেস্ব নিরাপত্তা কর্মী থাকবে।