বাংলাদেশের বিদ্যমান আন্ত:ধর্মীয় সর্ম্পক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সব ধর্ম-পেশার মানুষকে নিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফকরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও ভাতৃত্ববোধের মধ্যে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুগযুগ ধরে সকল ধর্মের মানুষ তাদের আচার অনুষ্ঠান সম্প্রীতির মাধ্যমে পালন করে আসলেও মাঝে মধ্যে ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করে গুজব রটিয়ে একটি মহল সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চায়। এদের ব্যাপারে সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহগীর আলম,জেলা পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন,জেলা আনসার কমান্ডেন্ট মো: ইসমাইল হোসেন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অসিম কুমার পাল। নাসিরনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকারের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সোহাগ রানা,উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্ত্তিক চন্দ্র দাস,ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস,মো: জিতু মিয়া,ফারুকুজ্জামান ফারুক,রুবেল মিয়া,ধর্মীয় নেতা মূফতি মোখলেছুর রহমান,সুখদাবলরাম দাস,প্রধান শিক্ষক কাজী আতাউর রহমান গিলমান,প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম,প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী,উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অনাথ বন্ধু দাস, সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী প্রমূখ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন,সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের চিহিৃত করে প্রশাসনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে এমন সম্প্রীতি কেউ নষ্ট করতে সাহস না পায়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার বলেন,ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম, এখানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোন স্থান নেই। ইসলামসহ অন্যান্য ধর্ম অপর ধর্মের প্রতি সব সময় সম্মান দিতে শিখিয়েছে। সম্প্রীতি সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা,জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,সরকারি কর্মকর্তা,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি,ধর্মীয় নেতা,পুরোহিত,সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।