কুড়িগ্রামের রাজারাহাটে নিখোঁজ প্রকৌশলীর লাশ কুড়িগ্রাম সদরের একটি পুকুর থেকে উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ চার আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার(১৮অক্টোবর) দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাজারহাট আমলি আদালতের বিচারক লিটন চন্দ্র রায় এই আদেশ দিয়েছেন। রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলেন সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর তালতলা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সোহেল রানা (২২), হাসপাতাল পাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম রবির ছেলে মমিনুল ইসলাম (১৯) ও দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়া গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে ফেরদৌস প্রান্ত (১৯) এবং কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত নুর মোহাম্মদ আপেল (বিপি ১১২৫)। আপেলকে নজরদারীতে রাখার পর মঙ্গলবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিষয়টি রাজারহাট আমলি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফারুক হোসেন নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শহরের হাসপাতাল সড়কের পাশে আরডিআরএস কার্যালয়ের পেছনের পুকুর থেকে মাহমুদ উল ফেরদৌস মামুন (২৮) নামের প্রকৌশলীর লাম উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের ছিনাইহাট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছবরুল হকের ছেলে। ২০২১ সালে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পাশ করা মাহমুদ গত ৯ অক্টোবর দুপুরে বাসা থেকে কুড়িগ্রাম শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তার বড় ভাই মাহবুবুল ফেরদৌসের মুঠোফোনে একটি অজানা নম্বর থেকে কল আসে এবং তার ভাইকে আটকে রাখার কথা জানায়। দ্রুত ৫হাজার টাকা দিলে তবেই তার ভাইকে ছেড়ে দেবে বলেও জানায়। পরে তার বাবা ছবরুল হক রাজারহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে পুলিশ গত ১৫ অক্টোবর রাতে তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরের দিন সোমবার(১৬অক্টোবার) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওই পুকুর থেকে মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রকৌশলী মাহমুদের মরদেহ উদ্ধারের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ তার মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি। এদিকে মঙ্গলবার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমীন বলেন, সঠিক তথ্য জানতে আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওই ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির পরিচয় বর্তমানে আমাদের কাছে আসামি।