শেরপুর জেলা উত্তরে গাড়ো পাহাড়ে হলুদ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কৃষক। অথচ কৃষিতে হলুদ একটি লাভজনক ফসল। শেরপুরে উত্তরে গাড়ো পাহাড়ে প্রচুর পরিমাণে চাষ হলেও গত কয়েক বছরে হলুদের চাষ দৃশ্যমান হচ্ছে না। হারিয়ে যাচ্ছে এই অর্থকারী ফসল। এদিকে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ রয়েছে নির্বিকার। উদাসীন থাকায় কৃষকদের মাঝে হলুদ চাষে আগ্রহ নেই। ভারত সীমান্ত ঘেষা ঝিনাইগাতী গাড়ো পাহাড় মাটি হলুদ হওয়ায় হলুদ চাষে অত্যন্ত উপযোগী। জানা যায় ইতোপূর্বে হলুদ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত। উত্তরে ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, হলুদ চাষ ৯ মাস ব্যাপি হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি কাঁচা হলুদ পাওয়া যায় প্রায় ১২০ থেকে ১২৫ মণ। হলুদে তেমন রোগ নেই তবে পরিমিত সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে লাভজনক ফসল পাওয়া যায়। কিন্তু স্থানীয় কৃষি বিভাগের এ ব্যাপারে গাফিলতির কারণে সঠিক পরামর্শ না দেওয়ায় কৃষকরা হলুদ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কৃষি বিভাগ স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে হলুদ চাষে উৎসাহিত করতে পারলে কৃষকরা হলুদ চাষ করে বেশ লাভবান হবেন বলে মনে করেন তারা। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার বলেন, ইতোপূর্বে মধ্যেই হলুদের চাষ শুরু করেছে। দুইটি প্রকল্পের আওতায় হলুদের চাষ বাড়াতে ব্যবস্থ্য গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ইতোপূর্বে উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।