পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বড় শারদীয় দুর্গোৎসব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিলে সকল স্তরের লোকজনের সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনও মাহন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এ সময় ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে হিন্দু সম্প্রদায়কে টার্গেট করেছিল পাকিস্থানীরা। শেষ পর্যন্ত সেটা সফল হয়নি। কেউ যেন বাংলাদেশকে হেউ করতে না পারে, রাতের আঁধারে কাউকে যেন উসকে দেওয়া না হয়, এখন বাংলাদেশকে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে, সেটা যেন কেউ করতে না পারে, এজন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেন তিনি। শুক্রবর (২০ অক্টোবর) দুপুরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আড়ানী চকসিংগা গ্রামে নিজ বাড়িতে বাঘা ও চারঘাট উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের হাতে শাড়ি ও গেঞ্জি উপহার হিসেবে তুলে দেওয়ার সময়ে তিনি এ কথা বলেনে। তিনি আরও বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। যে ধর্মের লোক হক না কেন, উৎসবে সবাই আনন্দ উপভোগ করে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সকল ধর্মের লোকজন একে অপরের উৎসব ভাগাভাগি করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গোৎসবে যেন সবাই আনন্দে উপভোগ করতে পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। হিন্দু নেতাদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের তুলনায় অনেক দুর্গোৎসব বেড়েছে। এ বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে অধিকাংশই দূর্গাপূজা খোলা জায়গাতে হয়, সেহেতু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দূর্গামন্ডব ফেলে কেউ যেন ভোর রাতে বাড়ি চলে না যায়। সজাগ থাকবেন, চোখ কান খোলা রাখবেন। ২০২৩ সালে এই উৎসব যেন সবচেয়ে সুন্দর হয়। দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে ৪ হাজার ৫৫০ পিচ শাড়ি ও ৫ হাজার ২৩৫ পিচ গেঞ্জি নারী-পুরুষের মাঝে উপহার বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, বাঘা উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার পান্ডে বাকু, সাধারন সম্পাদক অপূর্ব কুমার সাহা, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রাম গোপাল সাহা, সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন পান্ডে বাবু, চারঘাট উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল কান্তি ঘোষ প্রমুখ।