সারাদেশে ইলিশ ধরার ওপরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এরমধ্যেই প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে ইলিশ শিকার করছে অসাধু জেলেরা। তারই ধারাবাহিকতায় মুলাদীতে গত কয়েকদিন থেকে রাতে বসে ইলিশের হাট। আর টর্চের আলোতে বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ। উপজেলার জয়ন্তী নদীর তীরবর্তী ভেদুরিয়া, বেপারীর হাট, সীমান্তবর্তী হিজলার আবুপুর এলাকায় রাতে হাট বসিয়ে ইলিশ বিক্রি করছেন জেলেরা। কম দামের আশায় সাধারণ মানুষও ইলিশ ক্রয় করতে এসব এলাকায় ভিড় করছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত আটটার দিকে ভেদুরিয়া ও আবুপুর এলাকায় বসেছিলো ইলিশের হাট। যা চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। ভেদুরিয়া গ্রামের আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিদিনই ভেদুরিয়া ও আবুপুর খেয়াঘাটে ইলিশের অস্থায়ী হাট বসে। সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব এলাকায় জেলেরা ইলিশ বেচা-কেনা করেন। মাঝে মধ্যে পুলিশ ও প্রশাসন আসলে দালালদের মাধ্যমে আগেই খবর পেয়ে দ্রুত গাঁ ঢাকা দেন জেলেরা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএফএম নাজমুস সালেহীন বলেন, প্রতিদিন আড়িয়ার খাঁ ও জয়ন্তী নদীতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫ জন জেলেকে আটক করে কারাগারে এবং বেশ কিছু জেলেকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এরপরেও জেলেরা আইন অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকারের চেষ্টা করছেন। তিনি আরও বলেন, জেলেদের দৌরাত্ম থামাতে থানা ও নৌ-পুলিশের সহায়তায় নদীতে অভিযান বাড়ানো হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দীন বলেন, জেলেদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনে কোস্টগার্ড ও অতিরিক্ত পুলিশের মাধ্যমে কঠোর অভিযান চালানো হবে।