সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজার মন্ডপে সাজ সাজ রব। ভাস্কর শিল্পীরা রং তুলির আচড়ে প্রাণবন্ত করে তুলেছে দেবী দূর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রুপ। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে চলছে উৎসব। তাই মন্ডপে মন্ডপে চলছে সাজ সাজ রব। সাজ সজ্জা, সৌন্দর্য বর্ধন ও আলোকসজ্জার কাজে ব্যাস্ত সময় পাড় করছেন পূজা উদযাপন কমিটির লোকজন। খুশির আমেজ বিরাজ করছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মাঝে। শুক্রবার ঢাক ঢোলের বাজনায় শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিকতা।
জানা যায়,জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় ১৩ টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গাপূজা। শুক্রবার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব। মুল অনুষ্ঠান শুরু হবে শনিবার থেকে। ২৪ অক্টোবর দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। তাই দূর্গাপূজাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে বকশীগঞ্জে। কেনাকাটায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিপনী বিতান গুলোতে উপচেপড়া ভিড়। বেড়েছে বেচাকেনা। নতুন পোষাকে দেবীর আরাধনা করতে ব্যাস্ত অনেকে। সবকটি মণ্ডপে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা। তুলির ছোয়ায় প্রতিমাকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন শিল্পিরা। পুজা উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে সুদৃশ্য বিশাল বিশাল গেইট ও প্যান্ডেল। সেই সাথে চোখ জুড়ানো লাইটিং।
বকশীগঞ্জ উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী রমেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন,উপজেলায় এবার ১৩ টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সবকটি মণ্ডপেই প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ শেষ করে উৎসব শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শারদীয় দূর্গাউৎসবকে নির্বিঘ্নে পালন করতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোহেল রানা বলেন, পূজা মণ্ডপকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি আনসার, কমিউনিটি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং কন্টোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা।