কিশোরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন যৌতুক ও মানবপাচার প্রতিরোধ শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে (২২ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সম্প্রসারিত কমপ্লেক্সের সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কেয়ারটেকার এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের উপস্থিতিতে এ সভা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। ইফার সদর উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মাও. একেএম মস্তোফা কামালের পরিচালনায় এতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন বাংলাদেশ মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাও. এমরুল হাসান, সদর উপজেলা মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো.আমিনুল হক সাদী। অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইফার মডেল কেয়ারটেকার হাফেজ মাও. মাসুম বিল্লাহ, সাধারণ কেয়ারটেকার মাও. হুমায়ুন কবীর, মাও. সাদেকুজ্জামান, মাও. মাহতাব উদ্দিন, মাও.আব্বাছ আলী। এর আগে সদর উপজেলার ইফার সকল শিক্ষকদের উপস্থিতিতে মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী নারী ও শিশু নির্যাতন যৌতুক ও মানবপাচার প্রতিরোধে জুমআর প্রাক বয়ান প্রদানের জন্য ইমামদেরকে অনুরোধ জানিয়েছেন। সকল শিক্ষক সরকারের নিয়ম-নীতি মেনে কেন্দ্র পরিচালনা করবেন। উপজেলার মসজিদ সমুহে সরকারি বিভিন্ন নির্দেশনা সমুহ জনগনের কাছে পৌঁছানোর আহবান করেন। বিশেষ করে আসন্ন দুর্গা পুজা উপলক্ষে কোনো গুজব ছড়িয়ে কেউ যেনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট না করতে পারে সে দিকে সকলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন খান বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এটি এমন এক সার্বজনীন ও শান্তিময় জীবনব্যবস্থা, যেখানে শুধু মানব সম্প্রদায়ই নয় বরং পশুপাখি ও প্রকৃতির অধিকারও সংরক্ষিত রয়েছে। এ ধর্মে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কোনো স্থান নেই। যারা সামাজিক পরিম-লে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ইসলাম কায়েম করতে চায়, তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম এতই সোচ্চার, রাসূল (সা.) নিজেদের জানমালের পাশাপাশি সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়ের জানমাল রক্ষায় সচেষ্ট থাকার জন্যও মুসলমানদের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অন্য ধর্মাবলম্বী ও তাদের উপাসনালয়ের ওপর আঘাত-সহিংসতাও ইসলামে চিরতরে হারাম ও নাজায়েজ ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলামে নারী নির্যাতনের স্থান নেই। নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের প্রিয় নবী (সা) সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। ইসলাম যেহেতু মানব পাচারকে সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণা করেছে এবং পাচারকারীদের কঠিন শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে, সেহেতু পাচারের মাধ্যমে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের জীবন রক্ষায় আত্মনিয়োগ করা প্রতিটি মুসলমানের ওপর আবশ্যকরণীয়। অসহায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পরিশেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা ও ফিলিস্তিনী মুসলিমদের জান মালের হেফাজত চেয়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও.শাইখুল ইসলাম। এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাগণ, শিক্ষক ও শিক্ষিকা বিভিন্ন মসজিদেও ইমাম ও উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।