মণিরামপুরের খাটুয়াডংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবার সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং আয়া পদে নিয়োগ বোর্ডের আগেই ২৭ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং স্থানীয় আবদুর রশিদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খাটুয়াডাংগা গ্রামের মৃত. মান্দার বিশ্বাসের ছেলে এনায়েত বিশ্বাস বাদি হয়ে রোববার জেলা প্রশাসক ও মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। বাদি এনায়েত বিশ্বাস তার লিখিত অভিযোগ পত্রে জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টির তদন্তের দায়িত্ব না দেওয়ার জন্য দাবি করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, এ বিদ্যালয়ে সহকারি পদের জন্য আ¤্রঝুটা গ্রামের পলাশ সিংহ নামের এক ব্যক্তির নিকট থেকে অগ্রীম ১৫ লক্ষ এবং আয়া পদের জন্য খাটুয়াডাংগা গ্রামের এক নারীর নিকট থেকে অগ্রীম ১২ লক্ষ টাকা গ্রহন করেছেন প্রধান শিক্ষক হযরত আলী এবং আবদুর রশিদ নামে এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং পাতানো এ নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করতে বিজ্ঞ যশোর আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং দেওয়ানী ৭৭২/২১। আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজ্ঞ আদালত গত ১৮ অক্টোবর নিয়োগ বোর্ড স্থগিত রাখার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। যার শুনানীর দিন ধার্য্য করা হয়েছে আগামী ১৬ নভেম্বর। অভিযোগ রয়েছে, এর আগে বিদ্যালয়ে পৃথক তিনটি পদে তিনজনকে নিয়োগ দিয়ে প্রায় অর্ধ-কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন একটি মোহল। যে টাকা থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কল্পে কোন ব্যায় করা হয়নি। বিদ্যালয়েল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ এবং মামলা দায়ের করায় বাদি এনায়েত বিশ্বাসসহ তার পরিবারের স্বজনদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি এবং হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। যে কারণে বাদি নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নামমাত্র প্রধান শিক্ষক। আমি একটি মহলের কাছে জিম্মী। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের স্বার্থে ১৫ শতক জমির বিনিময়ে আয়া পদে খাটুয়াডাংগার ওই মহিলাকে নিয়োগ দিতে হচ্ছে। এর বাইরে জানার জন্যে চঞ্চল ভট্টাচার্য্য নামে এক ব্যক্তিকে তিনি দেখিয়ে দেন।