হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় রাজশাহীর বাগমারার মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের (ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শাহাদাত হোসেন। সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মুগাইপাড়া বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারী বিধি মোতাবেক মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে গত ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি প্রভাষক ইংরেজি পদে তাকে নিয়োগ প্রদান করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকে আমি নিয়মিত পাঠদান সহ অন্যান্য দায়িত্ব সুচারু রূপে পালন করে আসছি। অতঃপর কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ অবসর গ্রহণের পর, বর্তমান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নূরুল হুদা দায়ীত্ব নিয়েই নানা অজুহাতে আমাকে পাঠদান থেকে বিরত রাখেন।
গত ৮ মার্চ ২০২১ সালে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল হুদা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে আমার ইংরেজি প্রভাষকের বৈধ পদ শূন্য দেখিয়ে শিক্ষক নিবন্ধনে তালিকা পাঠিয়ে দেয়। সেই মোতাবেক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ শূন্য পদের জন্য মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে জাকিয়া আক্তার নামক একজনকে নিয়োগের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করেন। কোন পথ না পেয়ে আমি মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করি। (পিটিশন নং-৫২৪১/২০২১)। পিটিশন অনুযায়ী চলতি বছরে ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ সালে মহামান্য হাইকোর্ট নিয়োগ-যোগদানে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। অধ্যক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই শিক্ষককে নিয়োগ প্রদান করেন।
বর্তমানে দীর্ঘ দিন চাকুরি করেও বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। সে কারণে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুল হুদার শাস্তি দাবী করছি। এ সময় ভুক্তভোগী মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শাহাদাত হোসেনের পাশে ছিলেন গনিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি রফিকুল ইসলাম, গনিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। মুঠোফোনে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নূরুল হুদার বলেন, পূর্বের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন বলে তিনি ফোনটি বন্ধ করে দেন।