ময়মনসিংহের ভালুকায় আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় রাতের আঁধারে টিনের বেড়া দিয়ে ও সাইনবোর্ড টানিয়ে এক নিরিহ ব্যক্তির কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর লুটপাট করা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিযোগ। ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২২ অক্টোবর) উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় দেয়া অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামের আবদুল হাই গং ও ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সদস্য মো: মোস্তফা কামাল গংদের মাঝে জামিরদিয়া মৌজার ২০২, ২০৭ ও ২২৪ নম্বর দাগে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ৬৯ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। এমনকি থানাসহ স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েক বার সালিশ হলেও কোন ফয়সালা হয়নি। এরই জের হিসেবে রোববার (২২ অক্টোবর) একদল লোকসহ দেশিয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ওই জমিটি জবর দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায় এবং বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে টিনের বেড়া দিয়ে ও সাইনবোর্ড টানিয়ে জমিটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় আবদুল হাই জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জমির দাবিদার আবদুল হাইয়ের ছেলে খোকন মিয়া জানান, ২০২, ২০৭ ও ২২৪ নম্বর দাগে প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ৬৯ শতাংশ জমি তারা পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে মালিক। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। মোস্তফা কামাল জেলা পরিষদ সদস্য হওয়ার পর থেকে প্রভাব খাটিয়ে তাদের ওই জমিটি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করে আসছিলো। ঘটনার সময় মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে ২০০/৩০০ লোক দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় তাদের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং টিনের বেড়া দিয়ে তাদের জমিটি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ওই জমিটি তিনি ক্রয় সূত্রে মালিক। ওই জমির বিষয়ে থানাসহ স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েক বার সালিশ ডাকা হয় কিন্তু আবদুল হাই ও তার লোকজন সালিশে আসেনি। তাই তাদের জমি টিনের বেড়া দিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। এ ঘটনায় আবদুল হাইয়ের ছেলে খোকন মিয়া বাদি হয়ে মো: মোস্তফা কামাল, মোফাজ্জল হোসেন, তোফাজ্ঝল হোসেন ও জাহাঙ্গীরের নাম উল্লেখ করে মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শণকারী এসআই আবুল কালাম জানান, জামিরদিয়া গ্রামের মোস্তফা কামাল ও আবদুল হাইয়ের মাঝে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ৯৯৯ নম্বরে সংবাদ পেয়ে তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরে দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, ওই ঘটনায় দু’পক্ষেরই অভিযোগ এসেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন।