চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ৫ দিনে তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুইজন গলায় ফাঁস দিয়ে ও একজন বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এতে এলাকার লোকজন উদ্বিগ্ন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর হাওয়া পিংকি ইসলাম (২৩) নামে স্বামী পরিত্যক্ত এক নারী নিজ ঘরের তীরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের নাদেরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের মেয়ে। ওইদিন পরিবারের অগোচরে বেলা ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটায়। গত দুইবছর আগে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাঁর দুই বছরের একটি শিশু কন্যা রয়েছে। আত্মহননকারী পিংকি মানসিকভাবে বিকারগস্ত ছিল বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে। গত ২৩ অক্টোবর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের মাধাইপুর গ্রামের বাসিন্দা অচীন বাবুর ছেলে প্রশান্ত (২৮) নামে এক মেথর শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওইদিন দিবাগত রাতে স্ত্রীর সামনে মদপান করে। পরে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে ঘরের তীরে সুতার বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এলাকার লোকজন জানিয়েছে প্রশাস্ত সবসময় মদ খেয়ে বেহুঁশ হয়ে থাকত। এরআগে দুইবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। এ ছাড়া গত ২১ অক্টোবর রাধানগর ইউনিয়নের চাঁড়ালডাঙ্গা ঘোড়াদহ গ্রামের বাসিন্দা বকুল (৪২) নামে এক কৃষক পরিবারের অজান্তে রাতের বেলা বিষপান করে। তাঁকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। কয়েক বার গভীর নলকূপের (ডিপকল) যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার কারণে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। এই কারণে তিনি বাড়িতে থাকা কীটনাশক বিষ পান করেন। এসব ঘটনার বিষয়ে রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আব্দুল্লাহ বলেন, মানসিক বিকারগস্ত, অর্থনৈতিক সমস্যা, হীনমন্যতা, পারিবারিক সমস্যা, দূর্ঘটনাসহ নানা কারণে সমাজে আত্মহত্যার প্রণবতা বেড়েছে। এগুলো দূর করতে সামাজিক গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পারিবারিকভাবে তাঁকে বুঝিয়ে বলতে হবে। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন এই তিনটি ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।