নোয়াখালীতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। একপক্ষ অপর পক্ষকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। তাদের পরস্পর বিরোধী অবস্থানের কারণে জেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও এখন দুই শিবিরে বিভক্ত। শুক্রাবার সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাচিপের নব গঠিত জেলা আহ্বায়ক কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বাচিপের জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডা: আবদুস সাত্তার ফরায়েজী অভিযোগ করেন, গত ১৮ স্বাচিপের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি বাতিল করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রিয় কমিটি। কিন্তু বাতিল কমিটর নেতৃবৃন্দের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সম্মিলিত চিকিৎসক পরিষদ ব্যানারে মানববন্ধনে আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এর আগে আহ্বায়ক কমিটিকে প্রতাখ্যান করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সামনে জেলায় কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এ সময় বক্তাগণ অভিযোগ করেন নোয়াখালীতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু গত ১৮ অক্টোবর কেন্দ্রিয় কমিটি জেলার কারো সাথে আলোচনা ছাড়াই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নোয়াখালীতে স্বাচিপের একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। ঘোষিত কমিটিতে নারী নির্যাতন মামলার আসামিসহ বিতর্কিত অনেককে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা। প্রতিবাদ সমাবেশে স্বাচিপের বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়।