রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের মধ্যে কাকরাইল মোড়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের কারণে দলটির সমাবেশের কাজ বন্ধ রয়েছে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে কাকড়াইল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দুপুরে সংঘর্ষের মধ্যে সমাবেশের কাজ বন্ধ রাখেন নেতাকর্মীরা। মঞ্চে বিএনপি নেতাদের ঘিরে রেখে স্লোগান দিচ্ছেন কর্মী-সমর্থকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের রাস্তায় নেতাকর্মীদের লাঠি হাতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা।
প্রধান বিচারপতির বাস ভবন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, দুপুর দেড়টার পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামের এক কর্মীসহ চারজন চিকিৎসক নিয়েছেন।
কাকরাইল মসজিদ মোড়ে গুলিস্তান পরিবহনের বাসে হামলায় বিএম রাজু কামাল (৫০) নামে অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগসের এক কর্মী আহত হন।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “সাতরাস্তা মোড় থেকে গাড়িতে উঠি গুলিস্তান যাওয়ার উদ্দেশ্যে। বেলা সাড়ে ১২টায় কাকরাইল মসজিদের আগে রাস্তায় গাড়িতে হমলা হয়।”
সকালে কাকরাইলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে শান্তিনগর ও কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। সেসময় সড়কে পিকআপ ভ্যানে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা পিকআপ ঘিরে ফেললে লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এরপর উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে কিছুক্ষণ। পরে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।
শনিবার নয়া পল্টনে সমাবেশ করছে বিএনপি। আর বায়তুল মোকাররম এলাকায় সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। একই সময়ে সমাবেশ করতে আরামবাগ এলাকায় জড়ো হয়েছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
এদিকে আরামবাগ এলাকায় ‘পুলিশের গুলিতে’ এক জামায়াত কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নায়েব আলী শেখ (৬০) নামের ওই ব্যক্তিকে নিজেকে জামায়ত কর্মী দাবি করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুপুরে আরামবাগে পুলিশের ব্যারিকেড অতিক্রম করার সময় পুলিশ গুলি ছুড়ে। এতে আমার ডান পায়ে গুলি লাগে।”
তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, “আহত রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন তিনি। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই।”