নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দিয়াড়গাড়ফা এলাকায় ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার চান্দাই মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান জিন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কমলা নদীতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় বড়াইগ্রামের সাতইল গ্রামের নৌকা রুপসী বাংলা প্রথম ও সোনার তরী দ্বিতীয় এবং চাটমোহরের জনতা এক্সপ্রেস তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। প্রতিযোগিতা শেষে চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এমপি বিজয়ীদের হাতে প্রথম পুরষ্কার হিসাবে একটি ১৮০ লিটার ফ্রিজ, দ্বিতীয় পুরষ্কার ১৩০ লিটার ফ্রিজ ও ও তৃতীয় পুরষ্কার হিসাবে একটি এলইডি টিভি মনিটর তুলে দেন। এ ছাড়া সৌজন্য পুরষ্কার হিসাবে ৪র্থ ও ৫ম স্থান অধিকারীকে একটি করে ব্লেন্ডার দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুদাসপুর পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, চাটমোহরের ডিবিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা পরিষদ সদস্য মেহেদী হাসান, সাবেক সদস্য আবুল কালাম জোয়াদ্দার, যুবলীগ নেতা জাকির সরকার, চান্দাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুজ্জামান গোলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াদুদ সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, কমলা নদীর খৈরাস ঘাট থেকে এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে মোট ৬টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি নৌকায় ৫০-৬০ জন করে মাল্লা ছিলেন। পানিতে বৈঠা চালানোর ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাল্লাদের ইয়া আলী, হেঁইও হেঁইও ...... ধ্বনির সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের করতালি ও হর্ষধ্বনীতে মুখরিত হয়ে উঠে নদীর দুই পাড়। নদীর পাড় জুড়ে নানা রকম পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন দোকানীরা। বিলুপ্তপ্রায় এ নৌকা বাইচ উপভোগ করতে নদীর দুই পাড় জুড়ে বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর ও পাবনার চাটমোহর উপজেলার কমপক্ষে ২০ হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল।