বিএনপির গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কাউখালী উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে কাউখালী থানায় গত শুক্রবার যুবলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় কাউখালী ও ভান্ডারিয়ার উপজেলা ১০ জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনেকে আসামি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবারে ও শুক্রবার চিরাপাড়া-পার সাতুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী কামাল হোসেন ও একই ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মামুন শেখকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
গত ২৮ শে অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার আতঙ্কে অধিকাংশ নেতাকর্মীই এখন এলাকা ছাড়া।
উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক এস, এম আহসান কবির সহ একাধিক নেতার অভিযোগ, ঢাকায় ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৩-৪ দিন ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু হয়।
তারা আরো জানান, পুলিশের এই হয়রানীর কারণে গত ২৫শে আগস্ট থেকেই উপজেলা বিএনপি সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার এড়াতে তারা আগে থেকেই ঢাকায় এসে অবস্থান নিয়েছে।
২৫ ও ২৬ তারিখ যে দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নামে কোন ওয়ারেন্ট ছিল না।
কত ২৭ তারিখ শুক্রবার কাউখালী থানায় বিএনপি'র ১০ জন নেতাকর্মী সহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের নাম দিয়ে একটি মিথ্যা সাজানো গায়েবী মামলা দিয়েছে।
তবে যতই বাধা মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার করুক আমাদের এক দফা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
বিএনপি নেতা আটকের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাউখালী থানার ওসি মোঃ জাকারিয়া বলেন, তাদের রেগুলার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এখানকার পরিবেশ শান্ত। অযথা কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।