মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পথে বরিশাল বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি দলটির। শনিবার বরিশাল মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য জাহিদুর রহমান রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য লঞ্চ থেকে নেমে ঢাকায় প্রবেশকালে গত শুক্রবার ভোরে জগন্নাথ কলেজের সামনে থেকে বরিশাল নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য কাজী গোলাম কিবরিয়া মুন্না, ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেন ও ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিনকে ওয়ারী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া বিএনপির মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য ঢাকায় প্রবেশকালে সরকারি বিএম কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ খানকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অপরদিকে বিএনপির মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে শ্যাম বাজার থেকে আনুমানিক রাত ৮টায় বরিশাল নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মো.বাবুল সরদার ও বরিশাল মহানগর জাতীয়তাবাদী আলফা টেম্পু শ্রমিকদলের নেতা মো. বেল্লাল আকনকে সূত্রাপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদসহ যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সদস্যরা। এদিকে বরিশালে বিএনপির চার নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গত শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গৌরনদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সজল সরকার জানান, উপজেলার মাহিলারা ইউনিয়ন বিএনপির পদহীন নেতা শাহদত খানকে গত শুক্রবার দুপুর ১২টায় মাহিলাড়া বাজার থেকে এবং বাজারের প্রোল্ট্রি ব্যবসায়ী বিএনপি সমর্থক সবুজ সিকদারকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বরিশাল নগরের থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান শরীফ ও রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব জামাল হোসেন। বৃহস্পতিবার রাতে সুলতান শরীফকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে এবং জামালকে জাগুয়া ইউনিয়ন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের নামে পুরোনো মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।