বিএনপির ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালে লালমনিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় আ'লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ এবং বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ন্যাংড়া জাহাঙ্গীর নামে এক যুবলীগ নেতা নিহতসহ ও আ'লীগের ৮ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকের গাড়িসহ ৫টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালের দিকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীরকে রংপুর মেডিকেলে নিলে সেখানে তার মৃত্যু মৃত্যু হয়। জেলা আ'লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, হরতালের সমর্থনে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীরা পিকেটিং করার জন্য মাঠে নামলে আ'লীগের নেতাকর্মীরা তাতে বাঁধা দেয়। পরে দুই দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপির পিকেটারদের হামলায় যুবলীগ নেতা ন্যাংড়া জাহাঙ্গীর ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাজুু আহমেদ গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়। এছাড়াও জেলা শহরে বিএনপি কর্মীরা পিকেটিং করার চেষ্টা করলে আ'লীগের সরভ ভুমিকায় তা পন্ড হয়ে যায়। যদিও বিএনপির কিছু নেতাকর্মী চোরাগুপ্ত হামলা চালিয়ে সাংবাদিকের গাড়িসহ ৩/৪টি মটরসাইকেল ভাংচুর করে। এদিকে সকালের দিকে জেলা শহরের মিশনমোড়ে বিক্ষোভ ও পিকেটিং করতে বিএনওি নেতাকর্মীরা মাঠে নামলে পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে হরতালকারীরা। হরতালে সাধারণ যাত্রীদের পায়ে হেঁটে এবং অটোরিকশা করে যেতে দেখা গেছে। লালমনিরহাট থেকে দুরপাল্লার বাসসহ সব রকম যানবাহন বন্ধ রয়েছে। জেলার আদিতমারী উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করার জন্য বিএনপি কার্যালয়ে সমবেত হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বুঝতে পেয়ে হামলা চালিয়ে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করে। এ সময় উভয় দলের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এছাড়াও জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়িতে আ'লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর কথা জেলায় ছড়িয়ে পড়লে আ'লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। এরই প্রতিবাদে জেলা আ'লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মতিয়ার রহমান জেলা শহরের বিডিআর গেটে বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষনা দেয়। যেকোন সময় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে জেলাবাসী মনে করছেন। লালমনিরহাট জেলা পুলিশ জানায়, জেলায় আইন শৃংখলার যেন কোন রকম অবনতি না হয় সেজন্য জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।